জহুরুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সার্বিক প্রচেষ্টায়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে হতে বাংলাদেশ শিক্ষা ব্যবস্থার উপর অভূতপূর্ব উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে। সরকার সকল জনগণ বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিক্ষা ব্যবস্থার সুবিধাসমূহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষা নীতি প্রণয়নের ফলে বদলে গেছে সিরাজগঞ্জের শিক্ষা ব্যবস্থা। এরই ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জে ব্যাপকভাবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে উন্নয়ন করে যাচ্ছে ।
২০০১ সালে ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে থমকে যায় শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন কর্মকান্ড। এরপর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায়নের পর শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের কাজ করতে শুরু করে।
সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা যায় , জেলায় ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত শিক্ষা প্রকৌশলী অফিস থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় নতুন ভবন নির্মাণ, সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্কারর করা হয়েছে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে রয়েছে উন্নয়ন মূলক ৪৫০ টি নতুন ভবন, যার ব্যয় প্রায় ৮৫০ কোটি টাকার এবং ৫০০টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ১০ টি সরকারি প্রতিষ্ঠান সংস্কার হয়েছে। যাতে খরচ হয়েছে ১৫২ কোটি টাকা। আরেকটি প্রকল্পের আওতায় জেলা শিক্ষা প্রকৌশলী অফিস কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করেছে এবং কিছু কাজ চলমান রয়েছে নির্বাচিত বে-সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রকল্পের আওতায় ৬০ টি বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে প্রায় ১৬২ কোটি ২৪ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে । নির্বাচিত বে-সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের ৬০ টি বিদ্যালয়ের উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ , যাতে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ৬৮ কোটি ২৩ লক্ষ ৬ হাজার টাকা। নির্বাচিত বে-সরকারি মাদ্রাসা প্রকল্পের আওতায় ৩৬ টি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে উন্নয়ন ব্যয় ৮৬ কোটি ৮৮ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। দেশকে তথ্য প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান শিক্ষা সুযোগ সৃষ্টির লক্ষে ৯ টি সরকারি কলেজ সমূহের উন্নয়ন। যাতে উন্নয়ন ব্যয় ৬৩ কোটি ১২ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা। সারা দেশে ১০০ টি উপজেলার ১টি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ১ প্রতিষ্ঠান স্থাপন। যাতে ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি ৪৭ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা। সেকেন্ডারী এডুকেশন সেক্টর ইনভেষ্টমেন্ট প্রোগ্রমের আওতায় ২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়। যার বাবদ ২০ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় শিক্ষা মান উন্নয়নের লক্ষে নির্বাচিত বেসকারি ৩৫ টি কলেজের উন্নয়ন। যার ব্যয় বাবদ ৭৭ কোটি ৩৬ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। মাউশি বিভাগের অনুকূলে অনাবাসিক ভবন নির্মান সম্প্রসারণ (৭০১৬) প্রকল্পের আওতায় ১৫০টি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা। যাতে ব্যয় হয়েছে ৭৯ কোটি ১১ লক্ষ টাকা। কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের অনুকূলে অনাবাসিক ভবন নির্মান সম্প্রসারণ (৭০১৬) প্রকল্পের আওতায় ৭০ টি প্রতিষ্ঠান স্থাপন। যাতে ব্যয় হয়েছে ৩৪ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা।
সিরাজগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশলী বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান জানান, সারা দেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জেও বর্তমান সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছে এবং বর্তমানে আরও বেশ কিছু কাজ চলমান আছে।
সিরাজগঞ্জ -১ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় বলেন , বাংলাদেশের মধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশি উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আপনারা দেখবেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শহর রক্ষা বাঁধ, জেলার রাস্তাঘাট, থানা স্থাপন ও তার আধুনিকায়ন, পাসপোর্ট অফিস, ভূমি অফিস ছাড়াও জেলায় সকল স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল এবং এর প্রকৌশল অফিস ও স্থাপন করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে জেলার সকল কাজ শেষে হয়েছে, সামান্য কিছু কাজ চলমান রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ-২ (সদর ও কামারখন্দ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাক্তার হাবিবে মিল্লাত মুন্না বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মধ্যে অতীতের সকল সরকারের আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে তার চেয়ে বর্তমান সরকার ১৫ বছরে দেশে বিশেষ করে সিরাজগঞ্জ ও কামারখন্দে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন কাজ হয়েছে এবং আর কিছু কাজ চলমান রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা আ.লীগের সভাপতি কেএম হোসেন আলী হাসান জানান, সিরাজগঞ্জের উন্নয়ন সব হয়েছে বর্তমান আওমীলীগ সরকারের অধীনেই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে সারা দেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জ জেলাতেও সকল উন্নয়ন কাজ হয়েছে আর কিছু কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
