খুলনা বিশেষ প্রতিনিধি
আজ (রবিবার) সকালে খুলনা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোঃ আকরাম হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। পরে তিনি কৃতি প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ট্রফি প্রদান করেন।
ব্যাচের সর্ববিষয়ে চৌকস টিআরসি মোঃ ওয়াহিদ হাসান, একাডেমিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠ টিআরসি মোঃ ইমরুল কায়েস, মাঠ বিষয়ে শ্রেষ্ঠ টিআরসি মোঃ হৃদয় ইসলাম এবং মাসকেট্রিতে শ্রেষ্ঠ টিআরসি নির্বাচিত হন সোহানুর রহমান।
রিক্রুট কনস্টেবলদের উদ্দেশ্যে তাঁর ভাষণে অ্যাডিশনাল আইজি মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের বীরত্বগাথা এবং দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিকালে পুলিশের অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, এই সমাপনী ও কুচকাওয়াজের মধ্যদিয়ে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, সরকারি সম্পদরক্ষা, জনশৃঙ্খলা, নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনায় জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে কর্মজীবন শুরু করতে যাচ্ছ। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও নিবারণ, জনগণের জীবন এবং সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ট্রফিক নিয়ন্ত্রণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা অপরিহার্য। বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আপামর জনগণের স্বপ্ন পূরণে নতুন পুলিশ সদস্যরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করবে।
দেশের সীমান পেরিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় পুলিশ বাহিনী কাজ করায় বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশের মূলমন্ত্র শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, প্রগতি ধারণ করে কর্তব্য, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারলে তোমরাই হবে আগামী দিনের অহংকার। তিনি সর্বোচ্চ দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব সততার সাথে দায়িত্ব পালনে নতুন পুলিশ সদস্যদের উদাত্ত আহবান জানান।
সমাপনী ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে খুলনা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (ডিআইজি) আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী, জাহানাবাদ সেনানিবাসের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী সাজ্জাদ হোসেন, খুলনা পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার, সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রশিক্ষণার্থীদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।