মশিউর মিলন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফলে যৌতুক না পেয়ে মোসা. সাহেরা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূকে তার স্বামী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজধানীর মৌচাকে একটি ভাড়া বাসায় নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন নিহতের স্বজনেরা। নিহত গৃহবধূ বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের পূর্বকালাইয়া গ্রামের আবদুর রহিমের মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামীর নাম মো. রেজাউল। তিনি একই ইউনিয়নের আয়নাবাজ কালাইয়া গ্রামের নুরু হাওলাদারের ছেলে।
বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার কালাইয়াতে লাশ নিয়ে আসেন স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের চেষ্টা করলে স্থানীয়রা বাঁধা দেয়। এসময় অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করে মারধরও করেন উত্তেজিত জনতা।
নিহতের পরিবার জানান, প্রায় ৫ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের ৪ বছরের একটি কণ্যা সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী রেজাউল যৌতুকের জন্য প্রায়ই ওই গৃহবধূকে মারধর করতেন। ২২ দিন আগে নিহত গৃহবধূকে ঢাকা নিয়ে যায় স্বামী রেজাউল। রাজধানীর মৌচাক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা। গত কয়েক দিন ধরেই গৃহবধূকে মারধর করে আসছিল স্বামী। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ মারা গেছে বলে দাবি করেন নিহতের স্বজনেরা।
নিহতের বোন জানান, গতকাল শনিবার তার বোন ফোন করে কান্নাকাটি করে স্বামীর নির্যাতনের কথা জানায়। এর পর থেকে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও রিসিভ করা হয়নি।
মেয়ের হত্যার বিচার দাবি করে নিহতের বাবা রহিম বলেন, রেজাউল আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করে। মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে ফোন করে মেয়ে অসুস্থ্য। পরে আর আমাদের ফোন রিসিভ করেনি। সকালে লাশ বাড়িতে নিয়ে এসে তড়িঘড়ি করে দাফন করার চেষ্টা করে। পরে এলাকাবাসী লাশ দাফনে বাঁধা দেয় ও রেজাউলকে আটক করে।
তবে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে স্বামী রেজাউল বলেন, কয়েকদিন আগে কথা কাটাকাটি হয়ে চড় থাপ্পর দেই। এতে সে অভিমান করে গ্যাসের ওষুধ খেয় আত্মহত্যা করেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।