হারুন শেখ স্টাফ রিপোর্টার বাগেরহাট জেলা।
ঢাকা মেগাসিটি লায়ন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, চোখ অমূল্য সম্পদ। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য আমরা ২০০৯ সাল থেকে গত ১৭ বছর ধরে চক্ষু চিকিৎসা শিবির পরিচালনা করছি। নির্মোহভাবে ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা এ কাজটি করছি। আপনারা জানেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে দক্ষিঞ্চালের এ জনপদ চোখের সমস্যা জনিত রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপারেশনের ফলে শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ কর্ম করতে পারছে, লেখাপড়া শিখতে পারছে, যে যে ধর্মের অনুসারী সবাই নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারছে। প্রতিবছর ৬ শত থেকে ৮ শত রোগীর ছানি পড়া, চোখের নেত্রনালী ও মাংশ বৃদ্ধি জনিত রোগীদের অপারেশন করা হয়ে থাকে। ছানি পড়া রোগীদের লেন্স সংযোজন ও চশমা প্রদান করা হয়। এ পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার রোগীকে অপারেশনসহ লেন্স সংযোজন করা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রায় লক্ষাধিক চোখের রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা, ঔষধ প্রদান এবং চশমা প্রদান করা হয়েছে। এই বৃহৎ চক্ষু শিবিরে বাগেরহাট, খুলনা, পিরোজপুর ও বরিশালসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীরা চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। তিনি আরো বলেন, সমাজের বিত্তবানেরা এগিয়ে এলে আমাদের সুবিধা বঞ্চিত মানুষেরা আরো ভালো থাকবে। তাই এই মহতী কাজে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে সবার দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করে বাগেরহাটের রামপালে দেশের সর্ববৃহৎ চক্ষু চিকিৎসা শিবিরের উদ্বোধন কালে তিনি এসব কথা বলেন।
শুক্রবার দিনব্যাপী শ্রীফলতলা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত চক্ষু শিবিরের উদ্বোধন কালে প্রধান অথিতির বক্তব্য দেন খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি তার অনুভূতি ব্যাক্ত করে বলেন, আমি অনেক ব্যাস্ততার মধ্যেও এখানে এসেছি। এমন বৃহৎ ও মহৎ কর্মযজ্ঞ দেখে আমি অভিভূত। এমন মহৎ কাজে সবাইকে এগিয়ে আসা উচিৎ। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য সবাই এভাবে এগিয়ে এলে আমাদের বাংলাদেশের মানুষ সমৃদ্ধ হবে।
চক্ষু চিকিৎসা শিবিরে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য ব্যারিষ্টার মো. জাকির হোসেন, রামপাল উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন, খুলনা জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খান মোতাহার হোসেন, উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব কাজী জাহিদুল ইসলাম, প্রেসক্লাব রামপালের সভাপতি এম, এ সবুর রানা, সিনিয়র সহসভাপতি মোতাহার মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক সুজন মজুমদার প্রমুখ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রায় ৬ সহাস্রাধীক রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান, ৬ শতাধিক রোগীকে চশমা প্রদান ও ৫ শতাধিক রোগীকে ছানি, নেত্রনালী ও মাংশ বৃদ্ধি রোগীকে বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। চক্ষু শিবিরের সমন্বয়কারী খান আলী আজম জানান যতক্ষণ রোগী থাকবে ততক্ষণ অপারেশনের জন্য রোগী বাছাই করা হবে। শেষ পর্যন্ত অপারেশনের জন্য বাছাই করা রোগীর সংখ্যা ৭ শত ছাড়াতে পারে।