আব্দুল্লাহ আল মামুন পিন্টু টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইল পৌরসভার বেবিস্ট্যান্ড সংলগ্ন এসএসএস আইডিয়াল স্কুলের সামনে বাবলুর বাড়িতে দিন রাত পাল্লা দিয়ে চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথেই বাবলুর বাড়িতে প্রকাশ্যে দিবালোকে চলছে মাদক কেনাবেচা। মাদক সেবনকারীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাদকদ্রব্য হেরোইন, ইয়াবা, মদ গাজা সহ বিভিন্ন ধরনের মাদক হাত বাড়ালেই পেয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এসএসএস স্কুলের আইডিয়াল স্কুলের সামনে মাদক বিক্রির কারনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।মাদকসেবিদের উৎপাতে ঠিকমতো স্কুলে আসা যাওয়া করতে তারা ভয় পায় শিক্ষার্থীরা। অনেক সময় শিক্ষার্থীদের সামনে মাদকাসক্ত ও মাদক সেবনকারীরা তাদের নিজেদের মধ্যে মাদক নিয়ে ঝামেলা তৈরি করে এতে করে স্কুলে যেতে বা ছুটি শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের ভয়ে বের হতে পারে না। মাদক সেবনকারীরা মাদকের টাকার জন্য প্রতিনিয়ত চুরি ছিনতাই এমনকি নেশাদ্রব্য জিনিস চায়ের সাথে, পানি ও জুসের সাথে মিশিয়ে খাইয়ে সবকিছু লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়। ইদানিং মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা রাস্তা দিয়ে যাতায়াতরত সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে সালাম বা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এক ধরনের শয়তানের নিশ্বাস নামক মাদক দ্রব্য জিনিস দিয়ে তাদের মস্তিককে মাদকসেবিরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। পরে ভুক্তভোগীদের সাথে থাকা নগদ টাকা পয়সা মোবাইল সর্ণসহ সব কিছু হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী বাবলুকে বিপুল পরিমাণ মাদক সহ গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এরপর মাদকব্যবসায়ী বাবলুর মাদক ব্যবসার হাল ধরে বাবলুর গোটা পরিবার। বাবলু জামিনে বের হয়েই পূনরায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করে বিভিন্ন জায়গায় মাদক বিক্রি করার জন্য তাদের পাঠানো হয়। বার বার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মাদকসহ গ্রেফতার হবার পরও কিছুদিন যেতে না যেতেই জামিনে মুক্ত হয়ে আবারো বেপরোয়া ভাবে দুমছে চালিয়ে যাচ্ছে মাদকব্যবসা। এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন যাবত বাবলু ও তার গোটা পরিবার ইয়াবা হেরোইন গাজা মদ বিক্রি করে যাচ্ছে। পাশেই মাঠের সাথে আরেক মাদকব্যবসায়ী লতা ও অনিতা বলেন তারা প্রশাসনকে ভয় পায়না বলে জানান, এলাকাবাসী আরো বলেন, মাদক ও তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলার হুমকি প্রধান করেন। এলাকাবাসী ও সচেতন মহল বলেন, যদি দ্রুত এই মাদকব্যবসায়ী বাবলু অনিতা ও লতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে এলাকার যুবসমাজ ধংসের দিকে চলে যাবে। তাই দ্রুত তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগীএলাকাবাসীর। এবিষয়ে সদর থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে মাদকব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।