মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ,মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাচ্ছেন চাঁদাবাজির অপরাধে চাকরিচ্যুত সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর রেজাউল করিম। এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতার নির্বাচনী প্রচারনা সহ পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট সরকারের একাধীক নেতার সাথে সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর রেজাউল করিম এর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় কালকিনি,ডাসার উপজেলা ও আংশিক মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন বিএনপির দলীয় নেতাকর্মি সমর্থক সহ পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকানে চলছে এনিয়ে সমালোচনার ঝড়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও উপজেলা বিএনপির দলীয় সুত্রে জানা যায়,২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়েছেন অর্ন্তবর্তী কালীন সরকার।
তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মি ও সমর্থকরা মাদারীপুর-৩ আসনটিতে বিপুল ভোটে বিজয়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপি নির্বাহী কমিটির সহ-গনশিক্ষা বিষায়ক সম্পাদক হামলা-মামলায় শিকার,গুম ফেরত নেতা আনিসুর রহমান তালুকদারকে নিয়ে সভা-সমাবেশ,প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ডে মহিলা-পুরুষ ভোটারদের নবায়ন ও ফরম বিতরন কার্যক্রম সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মসুচি পালন করে আসছেন।
অন্যদিকে বিএনপির ফেস্টুন-ব্যানার এবং আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে মাদারীপুর-৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যু মেজর রেজাউল করিম প্রচার করায়, দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সক্ষতা,২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে আ,লীগ নেতা আব্দুস সোবহান গোলাপের নির্বাচনী প্রচারনা, শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি সহ একাধীক আওয়ামী লীগের নেতার সাথে থাকা ছবি ও টিভি টকসো-তে বিএনপির বিরুদ্ধে সমালোচনার ভিডিও,২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় র্যাব পরিচয় জোরপূর্বক টাকা দাবি করায় পুলিশ মেজর রেজাউল করিমকে আটক করে সেনা সদরদপ্তরে হস্তান্তর করেন। এবং অভিযোগের তদন্তে জরিত থাকায় অকালীন অবসর দেন। যাহা ইতিমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় এলাকা জুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলুল হক বেপারী জানান, মাদারীপুর ৩ আসনের বিএনপি,তথা কালকিনি,ডাসার উপজেলা ও আংশিক মাদারীপুর সদরের পাঁচটি ইউনিয়ন বিএনপি অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিরা দলীয় সমর্থকদের সাথে নিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর রাজপথে থেকে সরকার পতনের আন্দোলন সংগ্রাম ছিলাম। এখনও দলীয় নেতাকমিদের্র নিয়েই আছি। মেজর রেজাউল করিম, কাদেরকে নিয়ে নির্বাচন করবে,সেই ভাল যানে। বিএনপির নেতাকর্মিদেরতো তার সাথে দেখছিনা। সেতো বিএনপির কেউ না। ইতিমধ্যে আপনারা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখছেন।