মোঃসাদ্দাম হোসেন ইকবাল।
ঝিকরগাছা উপজেলা প্রতিনিধী।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি ইউনিয়নের বামনালী-চাঁপাতলা (দক্ষিণপাড়া) গ্রামে স্বামীর ভাইপৌর হাতে নির্যাতিত হয়ে আলেয়া বেগম (৫৫) নামে এক মহিলা গুরুতর আহত অবস্থায় ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। আর এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে চাচা শহর আলী ভাইপৌর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত রবিবার (২০ আগষ্ট) দুপুর আনুমানিক ২ টার সময় শহর আলী নিজ জমিতে বাড়ির কোনায় পাট শুকানোর জন্য আড়া ঠিক করছিলেন। এসময় ১নং বিবাদী তরিকুল ইসলাম (৩০) বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় আড়া তৈরী করতে দেখে তার চাচার সাথে অশোভন আচারণ করে বাড়িতে চলে যান। পরে দুপুর আনুমানিক ২:৩০ মিনিটের সময় শহর আলী তার আপন বড় ভাই ২ নং বিবাদী গহর আলীকে ডেকে ঘটনা জানান।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গহর আলী তার ছেলে এবং বৌমা ময়না বেগম (২৫) তিনজন মিলে শহর আলী ও তার স্ত্রী আলেয়া বেগমের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁশ ও কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে আঘাত করে। এতে করে আলেয়া বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম হয়। বর্তমানে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
ঘটনার বিষয়ে শহর আলী বলেন, আমি আমার নিজ বাড়ির উপর দিয়ে বিবাদীদের চলাচলের জন্য রাস্তা দিয়েছি। ইতিপূর্বেও তারা বহুবার আমাদের পরিবারের হামলা ও নির্যাতন করেছে। আজ আমার স্ত্রীকে মেরে হাসপাতালে পাঠানোর পর এই ঘটনার বিষয়ে আমি বা আমার পরিবারের কেউ কোথাও গিয়ে বিচারের দাবী করলে তারা আমার পরিবারের সবাইকে হত্যা করে লাশ গুম করে দিবে বলে হুমকি প্রদান করছে। স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে আমি চরম আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম বলেন, মারামারির ঘটনা শুনেছি তবে থানায় অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত বলেন, একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।