মো:আছিফ মল্লিক
জেলা প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় মাদরাসা পড়–য়া নবমশ্রেণীর শিক্ষার্থী শ্রেণী কক্ষে পড়া দিতে বিলম্ব করায় ক্ষিপ্ত আরবী শিক্ষক বেড়ক মারপিটে আহত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ভাণ্ডারিয়ার গৌরিপুর ইউনিয়নের পূর্ব মাটিভাংগা মোনতাজিয়া দাখিল মাদ্রাসায় আরবি বিভাগের শিক্ষক নূর আলম পহলান পাঠদানের সময় এ ঘটনা।
নির্যাতনের শিকার নবম শ্রেণীর ছাত্র মো. মাহিম হোসেন (১৫) ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন রয়েছে।
সে উপজেলার মাটিভাংগা গ্রামের মো. মিজান তহসিলদার এর ছেলে।
ভূক্তভোগি শিক্ষার্থী মাহিম অভিযোগ করে, শ্রেণীকক্ষে ইংরেজি শিক্ষক পাঠদানের পর আরবি শিক্ষক নূর আলম পাহলান (৫০) ক্লাসে আসেন। তিনি পড়া দিতে বলেন। এসময় আমি ইংরেজি শিক্ষকের পড়ানোর কিছু অংশ খাতায় লিখতে ছিলাম। এসময় লেখা শেষ করে পড়া দিচ্ছি এ কথা বলায় আরবী শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। সে আমার বুকে ও কাঁধে কিল, ঘুষি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। পরে ব্যথা অনুভব হলে বাড়ি চলে এসে গুরুতর অসুস্থ বোধ করায় চিকিৎসা নিতে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এসে ভর্তি হই।
মাদ্রাসা শিক্ষক নূর আলম পাহলান সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ঘটনার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোশাররফ হোসেন বলেন, ঘটনার আগে আমি মাদ্রাসা থেকে অনেক আগে বের হয়েছি । আমার এক আত্মীয়র অনুষ্ঠানে গিয়ে ছিলাম । পরে আর মাদ্রাসায় যাওয়া সম্ভব হয়নি। মাদ্রাসায় কি হয়েছে সে বিষয় আমি কিছু জানি না। তবে শিক্ষক এসয় নির্দয় আচরণ করলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদ্রাসার সভাপতি মো. রিয়াজুল রহমান মিয়া জানান, অভিযোগ পেয়ে মাদরাসা সুপারকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট তার বিরুদ্ধে পাওয়া গেলে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ভাণ্ডাারিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ আশিকুজ্জামান বলেন, মাদ্রাসাছাত্রকে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভান্ডারিয়া থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য আটক
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি, ঃ পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য মোঃ ছগির হোসেন ওরফে গুলি ছগিরকে আটক করেছে করা আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ান। ছগির বামনা উপজেলার ডুষখালী গ্রামের মৃত নাজেম আলি মোল্লার ছেলে। তিনি ডাকাতি ও বিস্ফোরক সহ একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি।
গতকাল (১৯ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার রাত দশ টার দিকে আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ান বরিশাল ১০ এর পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আঃ হক এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ভান্ডারিয়া উপজেলার বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে আটক করে। এ সময় ছগীরের সাথে থাকা এক সহযোগী পালিয়ে যায়।
আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ান বরিশাল ১০ এর পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আঃ হক জানায়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য, ডাকাতি ও বিস্ফোরক সহ ৭-৮ মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি ছগির হোসেন ওরফে গুলি ছগির কে সঙ্গীয় ফোর্স সহ ভান্ডারিয়া বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালিয়ে আটক করি। পরে তাকে ভান্ডারিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।