মোঃ কামাল উদ্দিন মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি জামালপুর
জামালপুরের মাদারগঞ্জে মির্জা আজম কলেজ গভর্নিংবড়ি’র কমিটি নিয়ে বিএনপি’র দুই গ্রুপে হট্রগোল এর ঘটনা ঘটেছে। রোববার বেলা ১১ টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল গ্রুপ এর প্রায় অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী সমর্থক কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনের ভিতরে এবং প্রায় ২ শতাধিক কর্মী সমর্থক বাহিরে অবস্থান নেয়।
জানা গেছে শিক্ষক মিলনায়তনে তাদের সাথে কলেজের অধ্যক্ষ কথা বলতেই জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন গ্রুপের দুইজন কর্মী অধ্যক্ষের কাছে কমিটির কাগজপত্রের ফাইলসহ জমা দেওয়ার সময় মারধোড়ের শিকার হন। এ ঘটনায় আহত হয়ে এডভোকেট মামুন গ্রুপের আজাদুল ইসলাম (৫৫) ও রফিকুল ইসলাম চাঁন (৪৫) মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে আহত আজাদুল ও চাঁন জানান রুপালী ব্যাংক ইসলমাপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মাদারগঞ্জের সন্তান মাসুদুর রহমান মাসুদ রানা কে সভাপতি করে ৬ সদস্যের একটি কমিটি ফাইলসহ অধ্যক্ষের কাছে জমা দেওয়ার সময় সিধুলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান রতন এর নেতৃত্বে ফাইল কেড়ে নিয়ে মারধোড় করে তারা, আহত হয়ে আমরা দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি।
জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন (গ্রুপের) মাদারগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোখলেছুর রহমান মুখলেছ জানান আদারভিটা ইউনিয়ন বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের সদস্য আজাদুল ইসলাম ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম চাঁন কলেজে কমিটি জমা দিতে গিয়ে বিএনপি নেতা মিজান সহ তার লোকজনেরা হামলা করে পরে আহত অবস্থায় মাদারগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি হয়।
মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান রতন জানান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমিটি পাশ হয়ে আসছে, কমিটি দিয়েছে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ভাই, তার নেতৃত্বে আমরা আছি, ঐ কমিটিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সেকশন অফিসার জাকিউল ইসলাম বিপ্লব কে সভাপতি করে আমরা কলেজের অধ্যক্ষের স্বাক্ষর নিয়েছি ইউএনও’র কাছে জমা দেবো। (মুখলেছ-মান্নান) গ্রুপের কোন সমর্থকদের সাথে (হাতাহাতি-মারামারি) এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি।
মির্জা আজম কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম মুস্তাফিজুর রহমান জানান শিক্ষক মিলনায়তনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা বাবুল গ্রুপের প্রতিনিধিসহ নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলতেছিলাম এমতাবস্থায় আজাদুল ও চাঁন নামে দুই জন কমিটির কাগজপত্র জমা দেওয়ার সময় ঐ গ্রুপের সমর্থকরা তাদের মারধোড় করে। আমি ও শিক্ষকরাসহ আমার অফিসে চলে আসি, বিষয়টি ইউএনও মহোদয় কে অবগত করেছি। বিএনপির দুই গ্রুপের দুটি কমিটি জমা দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মির্জা আজম কলেজ এর গভর্নিংবডি’র এডহক কমিটির সভাপতি ফাইজুল ওয়াসীমা নাহাত এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন কলেজের অধ্যক্ষ রোববারের বিষয়টি অবগত করেছে এবং তিনি সুপারিশকৃত একটি কমিটি আমাকে দিয়েছে এটা পাঠিয়ে দেবো ।
উল্লেখ্য যে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে দেশ ত্যাগে বাধ্য হোন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরপর সকল স্কুল,কলেজ কমিটি বাতিল করে অন্তবর্তীকালীন সরকার। পদাধিকার বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমিটির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় রোববার মির্জা আজম কলেজ কমিটি জমা কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করে।