মো: আশরাফুল ইসলাম,মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি.
মানিকগঞ্জের সদর ও দৌলতপুর উপজেলা থেকে তিন যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ফাঁস নিয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে সদর ও দৌলতপুর উপজেলার পৃথক স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের (সদর হাসপাতাল) মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলো- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের নতুন বাইচাইল গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে জাহিদ হোসেন(২৬),দিঘী ইউনিয়নের ছোট ভাটবাউর গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে রাকিব হোসেন (১৮) ও দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের চক-হরিচরন গ্রামের গোলাপ হোসেনের ছেলে শিশির হোসেন (২০)।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে নিজ ঘর থেকেই জাহিদ হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।জাহিদ হোসেন বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় পৌর সুপার মার্কেটের একটি দোকনে বিক্রয়কর্মী ছিলেন।
এদিকে সদর উপজেলার দিঘি ইউনিয়নের ছোট ভাটবাউর গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে রাকিব হোসেনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে রকিব বাড়ির পেছনের গাবগাছে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সকালে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ রাকিবের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। রাকিব হোসেন পেশায় একজন পিকআপ চালক ছিলেন।
অপরদিকে জেলার দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের চক-হরিচরণ গ্রামের গোলাপ হোসেনের ছেলে শিশির হোসেনের নিজ ঘর থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শিশির আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।শিশির হোসেন মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম মোল্যা জানান, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যার ঘটনা হতে পারে বলেও জানান তিনি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার জানান, সদরের লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে আনা হয়েছে। এ ব্যপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
