কুমিল্লা তিতাস প্রতিনিধি মো: হানিফ মিয়া
কুমিল্লা জেলা মুরাদনগর উপজেলা পাহাড়পুর ইউনিয়ন লোহাগারা গ্রামের গিয়াসউদ্দিনের ছেলে সৌদি প্রবাসী মো:সাইফুল ইসলাম খায়েরের স্ত্রী সুমি (২৩)কে শাশুরী নির্যাতন করে ৯ জুন সকাল ৮ টায় গলা টিপে হত্যা করার অভিযোগ ওঠেছে।
হত্যা করার পূর্বে সুমিকে বিভিন্ন ভাবে শাশুরী নাছিমা আক্তার শাহিনা নির্যাতন চালাতো।সূত্রে জানা যায় ২০২২ থেকে তিতাস ভিটিকান্দি মানিককান্দি রবিউল ইসলামের মেয়ে সুমি কে নির্যাতন শুরু করে এবং বাড়ির সকল কাজকর্ম করিয়েও শান্তি দিচ্ছেনা সুমির শাশুরী নাছিমা আক্তার শাহিনা।
আরো কয়েকবার সুমির ওপর নির্যাতনের অভিযোগও ওঠেছে জানিয়েছে সুমির ভাই জসিম….
হত্যার ১৫ দিনের পূর্বেও যখন নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে বাপের বাড়িতে চলে আসলে..বাবা রবিউল ইসলাম বুঝিয়ে সুমির শশুর বাড়িতে পাঠালে ১৫ দিন পর ৯ জুন সকাল ৮ টায় তাকে গলা টিপে হত্যা করে..শাশুরী নাটক সাজিয়ে আত্মহত্যা বলে জানিয়েছে সুমির বাপের বাড়িত,
আত্মহত্যার ৪০ মিনিট পূর্বে সকালের নাস্তা তৈরি করিলে এক পর্যায় অভিযোগ ওঠে ৩ থেকে ৪ দিন যাবত খাবার দিতনা শাশুরী..তারপর একপর্যায় সুমি বাপের বাড়িতে আসার জন্য বের হতে গেলেই তাকে চুলের মুঠি ধরে নিয়ে বিল্ডিং এ গলা টিপে হত্যা করে এবং শাশুরী নাছিমা বাচার জন্য মিথ্যে নাটক সাজায় যে সুমি ফাসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সুমির মরদেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে মুরাদনগর থানা পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পোস্টম্যাডামে পাঠালে..এবং থানায় মামলা দায়ের হলে শাশুরী নাছিমা আক্তার ও শশুর গিয়াস উদ্দিন কে আটক করে কুমিল্লা কোডে পাঠানো হয়।