মোঃ মশিউর রহমান সুমন।
মেহেন্দিগঞ্জ, (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ
সারা দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহ অবস্থা প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে মারাও যাচ্ছে অনেকে।এমন পরিস্থিতিতে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেন ডেঙ্গুবাহিত মশার (এডিস) বাসস্থান। হাসপাতালের চারদিকে নোংরা সেই সঙ্গ যেখানে -সেখানে রয়েছে ময়লার স্তূপ ও জলাবদ্ধতা। এসব ময়লায় জন্ম নিচ্ছে মশা, সঙ্গে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধও।
রোগীরা চিৎকিসার জন্য হাসপাতালটিতে গেলেও ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে উল্টো স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে চিৎকিসা নিচ্ছেন বলে রোগীর স্বজনদের অভিযোগ।
হাসপাতালে চিৎকিসা নিতে আসা রোগীদের ডেঙ্গু মশা সংক্রান্ত ব্যাপারে ও নিধনে হাসপাতালটির চিৎকিসকরা নানা উপদেশ দিলেও নিজেরাই মারছেন না সেসব উপদেশ। উল্টো হাসপাতালের আশেপাশে ডেঙ্গুর বংশবিস্তার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তেমন কোন পদক্ষেপ নেই বলে জানালেন একাধিক রোগী। হাসপাতালটিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীরাও ইদানীং দায়সারা কাজ করেন। আবার কখনও হাত -পা গুটিয়ে বসে থাকারও অভিযোগ রয়েছে।
হাসপাতালটিতে চিৎকিসা নিতে আসা এক রোগী ও তার স্বজনরা জানান, হাসপাতালে প্রায় প্রতিদিনি ডেঙ্গু রোগীদের চিৎকিসা দেওয়া হয়। সেখানেই যদি ডেঙ্গু মশা বিস্তারের স্থান তৈরি করা হয় সেটা বড় কষ্টদায়ক। এ সংক্রান্ত কিছু বললে লোকবলের সংকটের অজুহাত দেখিয়ে হাসপাতালের কর্মচারীরা এ হাসপাতালে চিৎকিসা নিতে আসা রোগীও স্বজনের সঙ্গে খারাপ আচরন করে।
হাসপাতালটিতে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যও বেড়েছে। বেড়েছে ঔষধ কোম্পানি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজনের আনাগোনাও। প্রতিদিনই হাসপাতালটির ইমার্জেন্সি কাউন্টারের সামনে তাদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো। তারা বিভিন্ন রোগীদের প্রলোভন দেখিয়ে ও রোগীদের সহায়তা করার কথা বলে নানা হয়রানি এবং হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ বিস্তর। এ ব্যাপারে কতৃপক্ষের উদাসীনতাকে দুষেলেন কয়েকজন রোগীর স্বজন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দৃষ্টি আর্কষন করলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের হাসপাতাল নিয়মিত পরিস্কার করা হয়। অপরিস্কার হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে রোগীরা ঔষধের প্যাকেট, খাবারের অবশিষ্ট অংশ ও নানা ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলানোর কারনে মাঝেমধ্যে আমাদের কিছুটা সমস্যা পোহাতে হয়।