মোঃ মশিউর রহমান সুমন। মেহেন্দিগঞ্জ,বরিশাল, প্রতিনিধি।
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে উপজেলায় গৃহবধূকে ধর্ষন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।
ভুক্তভোগী নারী মোসাঃ আয়শা বেগম। পিতাঃ মোঃ আলাউদ্দিন ঢালী, স্বামী মোঃ হাসনাইন লাহাড়ী। গ্রাম অম্বিকাপুর, ওয়ার্ড নং ৩ মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা। তিনি জানান, আমি এবং স্বামী মোঃ হাসনাইন লাহাড়ী থানায় উপস্থিত হয়ে ধর্যক মোঃ ওমর ফারুক খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি পেশায় একজন গৃহিনী, আমি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান নিয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানাধীন অম্বিকাপুর গ্রামে বসবাস করি। আসামী ফারুক খানের সাথে আমার স্বামী হাসনাইন লাহাড়ীর সুস্পর্ক রয়েছে সেই সুবাদে আসামীর সাথে আমার পরিচিত হয়। গঠনার ২ দিন পূর্বে আমার স্বামীর সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তারপর থেকে আমার স্বামী আমার সাথে আর কোন যোগাযোগ হয়নি।পরবর্তীতে আমার স্বামী আমার সাথে যোগাযোগ না করায় কারনে আমি আসামী ফারুক খানের মুঠোফোনে ফোন করে আমার স্বামী কোথায় আছে জানতে চাই।তখন আসামী ফারুক খান আমাকে বলে আপনি আমার অফিসে আসেন, আর আপনার স্বামী কোথায় আছে আমি বের করে দেবো।
আমি সরল বিস্বাসে গত ৮ ফেব্রুয়ারী সকাল আনুমানিক ৯ টা ৩০ মিনিটের সময় মেহেন্দিগঞ্জ থানাধীন পাতারহাট বন্দরের চিশতী সুপার মার্কেটের পিছনে আসামী ফারুক খানের অফিস রুমে আসলে তিনি আমাকে বসতে বলে এবং বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। কিছুক্ষণ পরে আসামী ফারুক খান আমাকে বলে আমি যা বলি তুই আমার কথায় রাজি হয়ে যাও তাহলে তোমার স্বামীকে আমি খুঁজে বের করে দিব।
এক পর্যায়ে আসামী ফারুক খান তার রুমের খাটের উপর আমাকে জোরপূর্বক শোয়াইয়া ধর্ষন করে। আমি ডাক চিৎকারের চেষ্টা করলে আসামী আমাকে বলে তুই এই কথা কাউকে বললে তোর দুই সন্তান এতিম হবে বেশি বাড়াবাড়ি করলে। আমাকে স্বামী হাসনাইনকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে।
আসামী ফারুক খান কিছুক্ষণ পরে ফোন করে আমার স্বামীকে তার রুমে নিয়ে আসে। তখননি আমার স্বামী আমাকে রুমে দেখতে পায়। পরবর্তীতে আমার স্বামী আমাকে আমার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। গত কিছুূদুন মানসিক অস্থিরতার মাঝে আমার দিন কাটাচ্ছি। পরবর্তীতে বিষয়টি আমি আমার স্বামীর সাথে আলাপ আলোচনা করে মেহেন্দিগঞ্জ থানার হাজির হয়ে আসামী ফারুক খানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
