পুঠিয়া উপজেলা প্রতিনিধি মুন্না আলী (রাজশাহী);
রাজশাহীর পুটিয়ায় যেন বারবার নিরাশ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অনেকেই ধৈর্য ধরছেন আর মনে মনে ভাবছেন একটু বৃষ্টি পড়তে লাগলে হয়তো এই লোডশেডিং এর অসহ্য যন্ত্রণা চলে যাবে। সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকেও গরমের সময় বলা হচ্ছিল বৃষ্টি পড়লেই লোডশেডিং কমে যাবে। লোডশেডিং একটু কমেছে কিন্তু এই যন্ত্রণা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া যাবে কবে, জানা নেই কারোর।
বর্তমানে দিনের যে কোন সময় বিদ্যুৎ গেলে এক থেকে দুই ঘন্টা যাবৎ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা। আবার রাতের বেলা বিদ্যুৎ গেলে একই অবস্থা। পল্লী বিদ্যুতের এই বিদ্যুৎ যাওয়া আসা ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষেরা। কোন কাজই ঠিকমত হচ্ছে না এই বিদ্যুৎ না থাকার কারণে। এখন সাধারণ মানুষের প্রশ্ন ওই এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই টুকটাক বৃষ্টি হলেও কেন বারবার লোডশেডিং হচ্ছে।
কোন কোন এলাকা যেন রুটিন করেই বিদ্যুতের লোডশেডিং দিয়ে রাখছে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। তবুও বিদ্যুৎ অফিস থেকে বলা হচ্ছে কোন লোডশেডিং নেই। তারের ত্রুটি থাকতে পারে।
বিদ্যুৎ কেন থাকছে না আর কবে নাগাদ পুরোপুরি পাওয়া যাবে এ বিষয়ে জানতে কথা হয় নাটোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১, পুঠিয়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) ইয়াকুব আলী শেখ এর সাথে তিনি বলছেন, গরম পড়লে বিদ্যুতের একটু লোডশেডিং হচ্ছে আর বৃষ্টি পড়ার কারণে বিদ্যুতের লাইন ফল্ট হচ্ছে, যার কারণে সব জায়গায় ঠিকমতো বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে এই মুহূর্তে কোন লোডশেডিং নাই। বিদ্যুৎ পুরোপুরি মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য সরকার কাজ করছে, পাশাপাশি আমরাও কাজ করে যাচ্ছি।