রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা ||
রামপালে অসহায় এক নারীকে ভুয়া দাগের জমি রেজিস্ট্রি করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, খুলে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নারী আবেদা বেগম।
অভিযোগে জানা গেছে, রামপাল উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের আনসার আলীর মেয়ে আবেদা বেগম একই গ্রামের মৃত মওলা বক্স হাওলাদারের ছেলে উজলকুড় ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমান হাওলাদারের কাছ থেকে কবলামূলে জমি রেজিস্ট্রি করে নেন। গত ইংরেজি ১৫-০৬-১৯৯৭ সালে রামপাল সাবরেজিস্টার অফিস থেকে সন্তোষপুর জেএল ৮৯ খতিয়ানের ৩,৬ ও ৭ দাগের ০.১৪ একর জমি লিখে দেন। সেই জমিতে দীর্ঘ দিন ধরে ভুক্তভোগী বাড়ি ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। এক পর্যায়ে আবেদা বেগম জানতে পারেন উক্ত জমি ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমানের ছেলে বাচ্চু হাওলাদার ও হেমতুল্লাহর নামের জমি তাকে লিখে দেয়া হয়েছে। পরে ভুক্তভোগী বিষয়টি মিমাংসার জন্য বিবাদী মুজিবের স্মরণাপন্ন হন। এতে কোন ফয়সালা না হওয়ায় আবেদা বিভিন্ন মানুষ দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিচ্ছেন। ইতিপূর্বে রামপাল উপজেলার বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ভুক্তভোগীকে জমির দলিল সংশোধন করে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপরে ও কোন সমাধান না পেয়ে সমাজপতিদের দ্বারস্থ হয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুজিবুর রহমান হাওলাদারের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, দলিলে দাগ নম্বর সংশোধন করে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে কেন এত দেরি হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন স্বাক্ষাতে সব জানাবো।