ঢাকাTuesday , 2 July 2024
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. ইতিহাস
  10. কবিতা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুন
  14. খেলাধুলা
  15. গণমাধ্যম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রামপালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার অনিয়ম তদন্তে কালক্ষেপণের অভিযোগ।

দেশ চ্যানেল
July 2, 2024 10:10 am
Link Copied!

হারুন শেখ স্টাফ রিপোর্টার বাগেরহাট জেলা ||

বাগেরহাটের রামপালে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করার পরে প্রায় ৬ মাস গত হলেও কোন প্রতিকার পাননি অভিযোগকারী অভিভাবক। তদন্তের নামে কালক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

 

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ১১৯ নং কদমদী বামনডহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সামসুন্নাহারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেন অভিভাবক মো. আবুল কাসেম। তিনি জানান, তার ছেলে আল সামি গত ৩ বছর ধরে ওই বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত রয়েছে। আল সামি ক্লাসে বারাবর ভালো রেজাল্ট করে আসছে। সে বর্তমানে ৩য় শ্রেণির ছাত্র। ২য় শ্রেণিতে পরীক্ষা দিয়েছে ৭ টি বিষয়ে। কিন্তু প্রধান শিক্ষিকা সামসুন্নাহার ৩ টি বিষয়ের মার্ক সংযোজন করেন প্রগতিপত্রে। ৪ টি বিষয় অজ্ঞাত কারণে বাদ দিয়ে সামির প্রগতিপত্রে ৩য় স্থান নির্ধারণ করেন ওই প্রধান শিক্ষিকা। অভিভাবক আবুল কাসেম ছেলে প্রগতিপত্র দেখে হতাশ হন। এক পর্যায়ে তিনি নম্বরপত্রের বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষিকার কাছে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। এরপরে বিদ্যালয়ের ভেতরকার বিষয়টি বাইরে এসে চায়ের দোকানে বসে বলেন, তার ছেলেসহ ৩ জন একই রেজাল্ট করেছে। আমি তাকে ৩য় বানিয়েছি। এতে দোষের কি হয়েছে ? আপত্তি করলে দরকার হলে আমি অন্য অভিভাবকদের হাত-পা ধরে ১ম করে দিবো। এ ছাড়াও ওই শিক্ষিকা তার ছেলে কিছু পারে না বলেও দোকানঘাটে এসে মন্তব্য করেন। এ ছাড়াও এ ঘটনা নিয়ে তিনি এলাকার অভিভাবক ও বাসিন্দাদের মধ্যেও বিভেদ সৃষ্টি করেছেন। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি অভিভাবক সদস্য নির্বচানে পছন্দমত প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন আদায় করার জন্যে অভিভাবকদের বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে বা ফোন করে চাপ প্রয়োগ করছেন।

এতসব অভিযোগের পরেও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান তদন্তের নামে কালক্ষেপণ ও গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ করেন অভিযোগকারী। তিনি বলেন, শিক্ষিকা সামসুন্নাহারের অনিয়ম ধামাচাপা দিতে টিইও কোন ব্যাবস্থা নেননি।

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা সামসুন্নাহারের মুৃঠোফোনে কথা হলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমার বিরুদ্ধে শিক্ষিকারাসহ কয়েকজন ষড়যন্ত্র করছে। তিনি ম্যানেজিং কমিটি গঠনের বিষয়ে কোন হস্তক্ষেপ করছেন না বলে দাবী করে।

 

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মতিউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের চিঠি পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে যথাসময়ে রিপোর্ট দিয়েছেন। তিনি কোন কালক্ষেপণ করেননি বলে দাবী করেন। তবে ওই শিক্ষিকার আচারণ সন্তোষজনক নয় বলে তিনি জানিয়ে বলেন, শিক্ষিকার সাথে তার সহকারীদের সম্পর্ক ভালো নয় বলেও মন্তব্য করেন ওই কর্মকর্তা। প্রধান শিক্ষিকা ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জন্যে তার পছন্দমত প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন চাইছেন। এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এমটি করলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা এর দৃষ্টি আকর্শন করা হলে, তিনি জানান, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST