মোঃরিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ:
সামান্য বৃষ্টিতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড মঙ্গলেরগাঁও জলার পার হতে পাঁচানী নদীর ঘাট পর্যন্ত সড়কটি।টানা বর্ষণের ফলে প্রায় এক কিলোমিটারের রাস্তার বেশিরভাগই খানা-খন্দে ভরে গেছে।এর ফলে এ রাস্তা চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়-প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার বেশিরভাগই খানা-খন্দে ভরে গেছে।অনেক জায়গার পিচ উঠে মাটি ও বৃষ্টির পানির সংমিশ্রণে কাদার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।খানা-খন্দের মধ্যেই চলছে যানবাহন।স্থানীয়দের অভিযোগ-মোগরা পাড়া ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় মার্কেট চৌরাস্তা এবং পিরোজপুর ইউনিয়নের বটতলা বাজার হওয়াতে আশেপাশের কাছে মার্কেট ও বাজারটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।প্রায় ১০/১৫ টি গ্রামের মানুষ রাজধানী ঢাকায় যাওয়ায় অন্যতম প্রধান সড়ক পাঁচানী হতে মঙ্গলেরগাঁয়ের এই রাস্তা।ফলে চাকরিজীবী থেকে শুরু করে স্কুলগামী সবাই এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে।প্রতিদিন এ সড়কে কয়েকশত যানবাহন চলাচল করে।রাস্তার বেহাল দশার কারণে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।সবাই মিলে একাধিকবার স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে রাস্তাটি সংস্কারকরণের জন্যে দাবি জানিয়েছেন,কিন্তু কেউ কোনো কাজ করেননি।সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার আমলে রাস্তাটির কাজ হয়েছিলো। কিন্তু এরপর আর রাস্তার কোন কাজ করা হয়নি।তাই ভোগান্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।তাহেরপুর হাজী লাল মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তাহেরপুর ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বলেন-প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে।তাদের চলতে খুবই সমস্যা হয়।প্রায় সময়ই গাড়ি দুর্ঘটনা হয় এ রাস্তাতে।অসুস্থ কোনো ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।তাই অনেক ভোগাস্তি নিয়েই আমাদের এ রাস্তা যাতায়াত করতে হয়।শান্তিনগর ও পাঁচানী এলাকার কিছু স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন-প্রতিদিনই আমাদের এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়।বৃষ্টিতে রাস্তাটি একদম চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।প্রায় দিনই ঘটে রিকশা ও অটো উল্টে যাওয়া ঘটনা।তারপরও শত ভোগান্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়।আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সরকারের কাছে অনুরোধ করছি দ্রুত এ রাস্তা মেরামত করার ব্যবস্থা করেন।স্থানীয় বাসিন্দারা আরো বলেন-নারায়ণগঞ্জের মধ্যে মনে হয় এতো খারাপ রাস্তা আর নেই।জনপ্রতিনিধিরা যদি এ রাস্তাটি সংস্কার করতে না পারে তাহলে তারা যেন নৌকা চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়।এ বিষয়ে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম বলেন-আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই রাস্তাটির কাজ শুরু হয়ে যাবে।স্থানীয় জনপ্রতিনিধি খোরশেদ ফরাজী ও জাহাঙ্গীর আলম বলেন-আমরা এ রাস্তাটির ব্যাপারে আমাদের চেয়ারম্যান ও এমপিকে অভিহিত করেছি,তারা আমাদের রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে দ্রুত কাজ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।রাস্তাটির ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন-আমি পূর্বে এ রাস্তাটি সম্পের্কে অবগত ছিলাম না।এ বিষয়ে উপজেলা মিটিংয়ে বসে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।