রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারী ও কর্ত্তিমারী হাট বাজারে ইজারাদার কর্তৃক সরকারের নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের কাছ থেকে সরকারের নিধার্রিত টোলের চাইতে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সহকারি জেলা প্রশাসকের টোল আদায়ে অনিয়ম দুর্নীতি বিরুদ্ধে ইজাদার সমন্বয়ে আলোচনা সভা হলেও তথইবচ। গত কোরবানির ঈদের পর রৌমারী উপজেলা প্রশাসনিক ভাবে উভয় পক্ষ থেকে টোল আদায়ের বন্ধ করে দেয়া ও টোল চাট দিলেও বন্ধ হয়নি অতিরিক্ত টোল আদায়। এতে বিপাকে ক্রেতা বিক্রেতারা।
হাট গুলোর মধ্যে রৌমারী প্রসিদ্ধ হাট-বাজার ও কর্ত্তিমারী হাট-বাজার। এসব হাটে সরকার নিধার্রিত টোল আদায়ের চাট ঝুলানো ও অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধ করে দেয়া হলেও কয়েকদিন বন্ধ রেখে আবারও প্রতিহাটে নিজেদের খেয়াল খুশিমত গরু, মহিষ ও ছাগল ভেড়ার বেচা কেনায় ক্রেতা বিক্রেতার উভয়ের নিকট থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। টোল আদায়ের রশিদে কোন মূল্য লেখা হয় না। অতিরিক্ত টোল আদায় করে ইজারাদার লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। জেলা প্রশাসনের অনুমোদিত টোল হার অনুযায়ী প্রতি গরু মহিষের শুধুমাত্র ক্রেতার কাছ থেকে ৫০০ টাকা নেওয়ার নিয়ম থাকলেও এখানে ক্রেতার কাছে নেয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা ও বিক্রেতার কাছে নেয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা এবং ছাগল ভেড়া প্রতি শুধুমাত্র ক্রেতার কাছ থেকে ২০০ টাকা নেয়ার নিয়ম থাকলেও ক্রেতার কাছ থেকে ২০০ টাকা বিক্রেতার কাছ থেকে ২০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এতে বিপুল পরিমান অর্থ ইজারাদারের পকেটে গেলেও ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে ক্রেতা বিক্রেতারা।
অতিরিক্ত টোল ও ক্রেতা বিক্রেতার নিকট থেকে টোল আদায়ে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে গত ১৪ জুন শুক্রবার জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান ও উপজেলা সহকারি ভুমি কর্মকর্তা ও রৌমারী থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুলা হিল জামানসহ একদল পুলিশ হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের সত্যতা প্রমানিত হলে তা বন্ধ করে দেন।
অন্যদিকে ধান, পাট, সরিষা, গলি হাটি সাব ইজারা দেয়া হয়েছে। যাহা সম্পন্ন নিয়ম বহির্ভুত। হাটে কোন পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নাই, নাই ড্রেনেজ ব্যবস্থা।
হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতা গন অভিযোগ করে বলেন, আমরা দুরদুরান্ত থেকে এসে রৌমারী, কর্ত্তিমারি হাটে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া বেচা কেনা করি। কোরবানির ঈদের পর কয়েকটি হাটে উভয় পক্ষের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধ ছিল। আবারো ৩ হাট আগ থেকে উভয় পক্ষের নিকট থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় করছেন। আবারো হাট-দুটিতে অতিরিক্ত টোল আদায়ের তদন্ত পুর্বক কঠোরভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন। তা না হলে এমন চলতেই থাকলে ক্রেতা বিক্রেতাগণ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
হাট ইজারাদারের প্রতিনিধি চন্দনের সাথে অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাট ইজারাদারের সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খানকে আবারো অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে কথা বললে, তিনি বলেন, বিষয়টি দেখছি।