আয়নাল হক ,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
রৌমারী উপজেলার মহাসড়কের পূর্বাঞ্চল পাহাড়ী ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে পূবার্ঞ্চলের প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। প্রথম ধাপের বন্যায় এঅঞ্চলের কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কৃষির উপর নির্ভরশীল কৃষকরা হতাশায় দিনাতিপাত করছেন। কারন ব্যাপকহারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উঠতি বোরো চাষিরা। এ মৌসুমে কৃষকদের যেসব ফসল মাঠে থাকার কথা ছিল। সব ফসল প্রথম ধাপের বন্যায় বিনষ্ট হয়ে যায়। ফলে নিম্নাঞ্চলের কৃষকার বিপাকে পড়েছে। প্রথম ধাপে পাহাড়ী ঢলের পানিতে কৃষকদের ক্ষতির বিবরন হচ্ছে বোরো ধান, পাট,চিনা,তীল,কাউন,আউশ ধান,শাকসবজীসহ সকলপ্রকারের ফসলাদি তলিয়ে বিনষ্ট হওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ওই পানি কমতে না কমতেই আবারও বন্যার হাতছানীতে দিশেহারা এ অঞ্চলের কৃষকরা। অপরদিকে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাগান বাড়ী,বংশির ভিটা,লাঠিয়াল ডাঙ্গা,আলগারচর,উত্তর আলগারচর, খেওয়ারচর,বকবান্দা,নামা পাড়া, ঝাউবাড়ী, চুলিয়ারচর,বড়াইবাড়ীসহ প্রায় ২০টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানি বন্দী অবস্থায় রয়েছে। এবিষয় সীমান্তঘেষা আলগারচর গ্রামের কৃষক আবুল হাশেম বলেন ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করছিলাম একটি ধানও কাটতে পারিনি। এখন আবার বন্যা দেখা দিয়েছে সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা না করে তাহলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে। একই গ্রামের কৃষক জয়নাল আবেদীন, আব্দুল লতিফসহ আরও অনেকেই জানান ধানের ফসল তলিয়ে নষ্ট হওয়ায় গবাদি পশুর খাদ্যের বড় সংকট দেখা দিয়েছে। একদিকে মানুষের ঘরে ধান তুলতে না পেরে খাবার সংকট অন্যদিকে গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা। সরকারি সহযোগিতার জোর দাবী জানিয়েছে নিম্নাঞ্চলের প্লাবিত এলাকাবাসী।
এবিষয় রৌমারী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে খবর পেয়েছি এবং ত্রাণের ব্যবস্তা করা হচ্ছে।
রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধরী এর কাছে কৃষকের ক্ষতির বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষিপুর্নবাসনে প্রণোদণা দেওয়া হচ্ছে যাতে করে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পাড়ে।