রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে যাদুরচর ইউনিয়নে বাবুল, সুমন ও মাসুমসহ একটি চক্র দীর্ঘদিন থেকে যাদুরচর এলাকায় ড্রেজার মেশিন, বিভিন্ন দখলবানিজ্য বিষয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়। বাবুল মিয়া যাদুরচর দিগলা পাড়া গ্রামের সুরুজ্জামানের ছেলে। এছাড়াও ঐ এলাকায় চাঁদাবাজির সময় নবনির্বাচিত এমপি ফুফাতো ভাই হিসাবে পরিচয় দিয়ে দাপটের সাথে চাঁদাবাজি করে চলছে। এদিকে হঠাৎ গতকাল ৬ এপ্রিল সকাল ১১ টায় যাদুরচর বাজারে ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ প্রোঃ আশরাফুলের দোকানে চাঁদাবাজির ঘটনাটি ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মেসার্স বিসমিল্লাহ ষ্টোর ও সজিব বেকারী এন্ড কনফেকশনারী প্রোঃ রুহুল আমিন চাউল, ডাউল, আটা, চিনি, ময়দা, ভূষি ইত্যাদি পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় ষ্টোর কাকরকান্দি বাজার, নালিতাবাড়ি, শেরপুর থেকে শনিবার সকাল ১১ টায় কাভার্ডভ্যান যোগে ১০০ (একশত) ব্যাগ চিনি, যাহার মূল্য ১১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা। কর্তিমারি বাজারে ভাই ভাই ষ্টোর আশারাফুলের দোকানে চিনির ব্যাগ আনলোড করার সময় বাবুল, সুমন ও মাসুমসহ একটি চাঁদাবাজ চক্র দোকানে গিয়ে ভারতীয় অবৈধ চিনি অজুহাতে গাড়ির ড্রাইভারকে আটক করে ও গাড়ির চাবি জব্দ করে। পরে দোকানে থাকা, দোকানের মালিক আশরাফুল ও তার ছেলে আমিনুলের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে প্রথমে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায়, আবার রাগাম্বিত হয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদাদাবী করেন। এতে চাঁদাবাজদের অত্যাচার সইতে না পেরে রৌমারী থানা পুলিশকে সংবাদদেন। পরে পুলিশ সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে কর্ত্তিমারি বাজারে যাওয়ার আগেই চাঁদাবাজিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যাছাই বাছাই অন্তে মালিক পক্ষকে মাল বুঝিয়ে দিয়ে চলে যান।
দোকানের মালিক আশরাফুলের ছেলে আমিনুল বলেন, শেরপুর থেকে আশা এক কাভার্ডভ্যান ভর্তি ১০০ ব্যাগ চিনি দোকানে আসছে। হঠাৎ করে চাঁদাবাজরা এসে মালামাল, গাড়ির চালককে আটক করে ও গাড়ির চাবি হাতে নেয়। তারা বলে এগুলো অবৈধ চিনি। আমাদেরকে চাঁদা দিতে হবে। না দিতে চাইলে নানা ভাবে অন্যায় কথা বলেন। উপায় অন্ত না পেয়ে বাধ্য হই পুলিশকে ফোন দিতে। পুলিশ আশার আগেই তারা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের সহযোগীতায় মালামাল গুলি দোকানে উঠাই। এবিষয়ে এলাকায় সমাালোচনার ঝড় বইছে।
এবিষয়ে অভিয্ক্তু বাবুল, সুমন ও মাসুম বলেন, আমরা এঘটনার কাছে যাইনি। তবে শুনেছি কে জানি গিয়েছিল। আমার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর বিষয়টি মিথ্যা।
যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজ বলেন, চাঁদা দাবির ঘটনাটি শুনেছি। তবে এমন চাঁদা দাবির বিষয়ের ঘটনাটি প্রমাণ করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
এবিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, চাঁদা দাবির বিষয়ে খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে ফোর্স পাঠিয়ে দেই। তবে
চাঁদাদাবি যারা করেছে তাদেরকে পাওয়া যায় নি। মালামাল গুলি দোকানদারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে ২৮ কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্যর ফুফাতো ভাই বাবুল পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় দাপট দেখিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ পাওয়ার বিষয়ে এমপি সাথে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনে পাওয়া যায়নি।