মোঃ আয়নাল হক রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ঘন কুয়াশা ও হাড় কাপাঁনো কনকনে শীতে ঠান্ডায় জনজীবনে নেমে এসেছে অস্থিরতা। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন পড়েছে চরম বিপাকে। গত ৩ দিন ধরে দিনভর সুর্যের মুখ দেখা যায়না। ফলে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছেন এ উপজেলার মানুষ। অনেকেই আগুন জালিয়ে তাপের উত্তাপে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারী সকালে উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রী সেলসিয়ার্স।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারনে দিনের বেলাতেও গাড়ি চলাচলেও অন্ধকার মনে হচ্ছে। প্রচন্ড ঠান্ডায় হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন ডায়েরিয়া ও নিউমোনিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগে রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শীত নিয়ে ফলুয়ারচর গ্রামের কাজিউল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন থেকে যে ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে চরের মানুষের থাকা সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। চরাঞ্চলের মানুষকে সরকারিভাবে কেউ গরম কাপড় বা কম্বল দিতে দেখা যায় না। তারা তাদের সংগৃহিত কাপর আর খড়জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণ করেন।
চর লাঠিয়াল ডাঙ্গার সমেজ উদ্দিন বলেন, গত ৪ দিন হলো ঘন কুয়াশায় ঢাকা সুর্য। সুর্যের আলো না থাকায় সীমান্তের মানুষ কনকনে হারকাপানো ঠান্ডায় অতিষ্ট হয়েছে। এতে বৃদ্ধ ও শিশুরা ডায়রিয়ায় ভুগছে। চিকিৎসার অভাবে কষ্ট করছে তারা। এ এলাকায় সরকারিভাবে কোন কম্বল বিতরণ হয়নি। খেটে খাওয়া মানুষ কাজ করতে না পেরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে কষ্টে আছে।
রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা গেছে, কয়েকদিনের ঘনকুয়াশায় ঠান্ডার জনিত কারনে প্রতিদিন প্রায় ৭/৮ জন ডায়রিয়া রোগি ভর্তি হচ্ছে। বৃদ্ধ থেকে শিশুরা ডায়রিয়ায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে যাচ্ছে বলে জানান।