লাখাই উপজেলা প্রতিনিধি
লাখাই উপজেলার ৩নং মুড়িয়াউক ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আইনুল হকের বিড়ম্বনা থেকে নিষ্কৃতি চেয়ে ভুক্তভোগীরা আবেদন করেছেন।
১২ জানুয়ারী রোজ রবিবার লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানার বরাবরে মুড়িয়াউক ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের বিড়ম্বনা থেকে নিষ্কৃতি চেয়ে লিখিত আবেদন করেন মোঃ সাইফুল ইসলাম ও মোঃ রিমন মিয়া।
আবেদন সূত্রে জানা যায়, ১নং আবেদনকারীর সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজনে আবেদনকারীর স্ত্রীর জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ও ইংরেজি করণের জন্য ও ২নং আবেদনকারীর বোনের জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ও ইংরেজি করনের জন্য বিগত ১৫ দিন যাবত ৩ নং মুড়িয়াউক ইউনিয়ন পরিষদে সচিবের কাছে ধর্না দিচ্ছেন। পরে আসুন, কাল আসুন এভাবে আশ্বাস দিয়ে সচিব প্রতিনিয়ত সময় ও অর্থ ক্ষেপন করছেন।
বিগত ৯ জানুয়ায়ী রোজ বৃহস্পতিবারে উক্ত অফিসে গিয়ে যথাযথ আসনে সচিব সাহেবকে না পেয়ে অনবরত প্রায় ২০০ (দুইশতাধিক) ফোন কল করেন আবেদন কারীগণ। এক পর্যায়ে সচিব কল রিসিভ করে রবিবারে অফিসে আসার কথা বলেন। সচিবের কথায় আশ্বস্ত হয়ে কল সমাপ্ত করেন আবেদন কারী। রবিবার সচিব সাহেবের দেয়া ওয়াদা মোতাবেক যথাযথ অফিসে গিয়ে রবিবারেও সচিবকে পান নাই আবেদন কারীগণ। উপস্থিত আরও অনেক সেবা গ্রহিতা চরম বিপত্তিকর অবস্থায় পড়ে যার যা মত মন্তব্য ও কষ্টের বর্ণনা করতে শুনে আমরা নিজেও হতাশায় পড়েছি। এক পর্যায়ে জানতে পারলাম যে, তিনি নাকি রবিবারে অফিসেই আসবেন না। জনগণের এই দুর্ভোগ ও অচলাবস্থা মূল্যায়ন চরম পর্যায়ে ব্যবহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে মুড়িয়াউক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোমান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, গত কয়দিন আগে মাসিক সভায় সচিব কে সতর্ক করে বলে দিয়েছি যে আপনার হাতে যত পেন্ডিং কাজ আছে সবার আগে ঐ কাজ শেষ করে বর্তমানে যত কাজ আসবে সেই কাজ গুলো যথাযথ ভাবে শেষ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি কিন্তু রবিবার সচিব আইনুল হক অসুস্থ থাকায় অফিসে আসে নাই।
মুড়িয়াউক ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আইনুল হকের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই তাই এবিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই।
লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা এবিষয়ে জানান ভুক্তভোগীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একজন তদন্তকারী দিয়ে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পত্র প্রেরণ করা হবে।