জেলা প্রতিনিধিঃ ( নড়াইল)
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শুলটিয়া গ্রামের আব্দুস ছামাদ শেখের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মচারী মোঃ আব্দুল হাই শেখের ক্রয় ও ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমি এওয়াজ বদল করে তার প্রাপ্ত সম্পত্তি বিক্রি করে পুনরায় তারই আপন ভাই মৃত মন্টু শেখের ছেলে মো: মিলন শেখের বসতবাড়ির জমি দখলের ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় দু”পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের শুলটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুস ছামাদ শেখের ৭ পূত্র রয়েছে। সাত ছেলের মধ্যে সম্প্রতি মন্টু শেখ মারা যান। মন্টু শেখের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশগণ সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হন। এরপর গ্রামে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে প্রত্যেক ওয়ারিশগণ সাড়ে ৩৮ শতাংশ জমি হিস্যা মতে প্রাপ্ত হয়েছেন।
সেই মোতাবেক অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মচারী আব্দুল হাই শুলটিয়া মৌজার ১৭৬৬ দাগে ১৬ শতাংশ, ১৫২৯ দাগের ১৩ শতাংশ, ১৮১২ দাগে ৩ শতাংশ, ৯৪৬ দাগের ৮ শতাংশ সর্বমোট ৪০ শতাংশ জমি ভোগ দখল ও বিক্রি করেছেন।
এদিকে জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় লোভের বশবর্তী হয়ে আব্দুল হাই তার আপন ভাতিজা এতিম মিলন শেখের বসতবাড়ির জমি দখলের ষড়যন্ত্র করছে। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত মোঃ আব্দুল হাই শেখ খুলনা থেকে মাঝেমধ্যে গ্রামের বাড়ি শুলটিয়ায় এসে এলাকার কতিপয় ভূমিদস্যুদের সহযোগিতায় জমি দখলের পায়তারা করছে বলে অভিযোগে প্রকাশ।
অভিযোগে আরো জানা গেছে, অভিযুক্ত মোঃ আব্দুল হাই শেখ তার আপন বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মোঃ মুনসুর শেখ তারই আপন ভাতিজা এতিম মিলন শেখকে সহযোগিতা করায় মনসুর শেখের চাকরিরত তিন ছেলে, যথাক্রমে ইমরান শেখ (পুলিশ সদস্য) হাসিবুল আলম (পুলিশ সদস্য) ও কুদরত শেখকেও (শিক্ষক) বিভিন্নভাবে হয়রানি করার ষড়যন্ত্র করছে। এমতবস্থায় মোঃ মুনসুর শেখ ও তার আপন ভাতিজা মিলন শেখসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে জীবনযাপন করছেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মোঃ মুনসুর আহমেদ ও এতিম মিলন শেখ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোঃ আব্দুল হাই শেখের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘ এতিম মিলন শেখের বসতবাড়িতে আমার জমির অংশ রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।