জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের পারমল্লিকপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দের জেরে হামলায় অন্তত ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পারমল্লিকপুর গ্রামের মিজু কাজীর বাড়ির সামনে হিসাম কাজীর চায়ের দোকানে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ঠাকুর গ্রুপের ৭জন আহত হয়েছে। আহতরা লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও যশোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পার মল্লিকপুর গ্রামে মৃধা গ্রুপ ও ঠাকুর গ্রুপের মধ্যে বিবাদমান দ্বন্দ নিয়ে বহুবার মারামারিসহ খুনের ঘটনাও ঘটেছে। দু’পক্ষের দ্বন্দ মিমাংশার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনেকবার শালিসি বৈঠক হয়েছে। দু মাস আগেও লোহাগড়া থানা চত্বরে পুলিশ সুপারসহ রাজনৈতিক, সামাজিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিরোধের মিমাংসা করা হয়। মিমাংসা হওয়ার পরেও মাঝেমধ্যে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
শনিবার(২০ডিসেম্বর) রাতে মৃধা গ্রুপের লোকজন ঠাকুর গ্রুপের কয়েকজনের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন ঠাকুর গ্রুপের লোকজন।
হামলায় আহতদের মধ্যে রয়েছে হিসু কাজী(৩৫), শফিক মোল্যা(২৫),অপু মোল্যা(২০),বুলু কাজী(২৭)।
এদিকে, হামলার ঘটনার জের ধরে রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঠাকুর গ্রুপের লোকজন মৃধা গ্রুপের বাড়ি,ঘর ও দোকানে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
অতর্কিত এ হামলা চালিয়ে টপি শেখ, চঞ্চল শেখ, ইসরাফিল শেখ, কালাম শেখ, আলিম কাজী, লাবলু মোল্লা, বাবুল মোল্যা, নজরুল শেখ, রইস কাজী, মোস্তাক শেখ, তারিকুল ফকির, হাফিজ শেখ, জাকির মৃধার দোকান ও বাড়ি ভাংচুর করে লুটপাট চালিয়েছে বলে প্রতিপক্ষ মৃধা গ্রুপের লোকজনের অভিযোগ করেন।
ঠাকুর গ্রুপের নেতা মশিয়ার রহমান বলেন, এঘটনা গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হয়েছে। আপনারা জানেন গত রাতে আমাদের লোকজনকে পিটিয়ে আহত করেছ। আমি আরো বলছি এটা কোন রাজনৈতিক ঘটনা নয়। আমরা শান্তি চাই এবং সর্বদা শান্তির পক্ষে।
অপরদিকে মৃধা গ্রুপের মোঃ নান্নু শেখ বলেন, ঠাকুর বংশের লোক তারা আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। তারা আমাদের নেত্রীর ছবিসহ ব্যানার ছিড়ে ফেলেছে। আমাদের লোকের দোকানপাট,বাড়িঘর ভাংচুর সহ ২ টি গরু নিয়ে গেছে। আমরা এই আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীদের বিচার চাই। শনিবার রাতে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে আমাদের লোক জড়িত নাই।
পার মল্লিকপুর গ্রামে সহিংস ঘটনার পর লোহাগড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেছে।
লোহাগড়া থানার ওসি তদন্ত অজিত কুমার রায় জানান, তদন্ত করে ববস্থা নেয়া হবে।

