রিপন রেজা নারায়ণগঞ্জ:
নগরীর বহুদিনের সমস্যা অবৈধ স্ট্যান্ড।ছোট্ট এ নগরীতে এখন অবৈধ স্ট্যান্ডের ছড়াছড়ি।যেখানে সেখানে কোন অনুমতি ছাড়াই গড়ে উঠছে সিএনজি, লেগুনা,ইজিবাইক,রিকশা,ভ্যানগাড়ির স্ট্যান্ড।নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ স্ট্যান্ড।রীতিমতো সম্পূর্ণ নগরী যেন অবৈধ স্ট্যান্ডের দখলে।আর এইসব অবৈধ স্ট্যান্ডের কারণে একদিকে তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট,অন্যদিকে চাঁদা তোলা হচ্ছে এই সকল অবৈধ স্ট্যান্ড থেকে। এতে যানজটে নিত্যদিন নাকাল হয়ে নগরবাসী দুর্ভোগ পোহালেও পরিবহন চাঁদাবাজদের পকেট ভারী হচ্ছে।নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া থেকে ২ নম্বর রেলগেট পর্যন্ত প্রধান সড়কের উপর গড়ে উঠেছে ১৩টি অবৈধ সিএনজি,অটো ও লেগুনা স্ট্যান্ড।পাশাপাশি ফুটপাত তো বটেই,সড়কের একটি বড় অংশও দখল করে নিয়েছে হকাররা।শহরের প্রাণকেন্দ্রে এতোগুলো অবৈধ স্ট্যান্ড থাকার ফলে প্রবেশপথে প্রতিদিনই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।পাশাপাশি মূল সড়ক হকারদের দখলে চলে যাওয়ায় নগরজুড়ে সারাদিনই যানজট লেগে থাকে,ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে।জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হলেও এর স্থায়ী সমাধান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।অভিযানের সময় হকাররা মালপত্র সরিয়ে নেয়,কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার বসে পড়ে।এই অবৈধ স্ট্যান্ডগুলোর কারণে শহরের প্রধান প্রবেশপথে সারাদিনই যানজট লেগে থাকে।শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় যানবাহনগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়,ফলে পুরো শহরজুড়ে যানজট তীব্র হয়ে উঠে।অন্যদিকে শহরের ফুটপাতের পাশাপাশি মূল সড়কের একটি বড় অংশও এখন অস্থায়ী হকারদের দখলে।চাষাঢ়া থেকে ২ নম্বর রেলগেট,কালীরবাজার, শহীদ মিনারের পেছন দিক,ফ্রেন্ডস মার্কেট এলাকা-প্রায় সব প্রধান সড়ক ও ফুটপাতে হকাররা পসরা সাজিয়ে বসে আছেন।স্থানীয়দের দাবি-শুধুমাত্র সড়ক থেকে হকার উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, ফুটপাত থেকে নয়।এর ফলে কোনো সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী।হকারদের পুনর্বাসন ও সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্ত না করা পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান হবে না।এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন-আমরা ইতোমধ্যে একাধিকবার অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ ও সড়ক দখলমুক্ত করতে অভিযান চালিয়েছি।এ বিষয়ে আরো ভালো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।প্রয়োজনে অভিযান জোরদার করা হবে বলেও জানান তিনি।