বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
বাজার পর্যায়ে ভোক্তা অধিকার কর্তৃক তোড়জোড় কুমে যাওয়াতে ফের সক্রিয় হয়ে পূর্বের অবস্থানে ফিরে এসেছে অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীগণ প্রতি কেজি সবজিতে বেড়েছে দ্বিগুণ। নাকাল অবস্থায় সাধারণ ভোক্তারা,
শুধু সবজি কিনতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে, মাছ মাংস তো বাদই দিলাম। নগরীর শেখপাড়া বাজারের একজন ক্রেতার অভিযোগ গেল রমজান মাসে যে সকল সবজির দাম আকাশছোঁয়া হওয়ার কথা ছিল তা আমরা খেয়েছি অনেক সস্তা দামে যা গত ২০ বছরের মধ্য সর্বনিম্ন রেকর্ড, কারণ ডা. ইউনুস দেশের সকল শ্রেণীর মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিটি নিত্য পণ্যের বাজার নজরদারিতে এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা কঠোর অবস্থানে রেখে অসৎ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কোমর শক্ত করতে দেয়নি, ফলে সকল সুবিধাটাই ভোগ করতে পেরেছে দেশের সাধারণ জনগণ। তবে হঠাৎ করে মাত্র অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি বেড়েছে দ্বিগুণ মাছের গায়ে ও হাত দেওয়ার কোন উপায় নাই ২০ টাকার দেশী পেঁয়াজ ৫৫ টাকা ৫০ টাকার রসুন ১২০ টাকা এদিকে সব ধরনের চাল কেজি প্রতি বেড়েছে ৭ থেকে ৮ টাকা আরএ সকল পণ্য হঠাৎ দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে দায়ী করছে বাজার মনিটরিং এর গাফিলতিকে।
এ ব্যাপারে অনেকেই বলছে জানিনা কেন ভোক্তাঅধিকারের বাজার মনিটরিং একেবারেই নিশ্চুপ হয়ে গেল সেটা কি কালোবাজারিদের সাথে গোপনে সখ্যতা নাকি তাদের উদাসীনতা। অপর আরেকজন ক্রেতা নগরীর সন্ধা বাজারে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট রাজনৈতিক নেতাদের দিকে আঙ্গুল তুলেছে দোষী করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কতিপয় কিছু পাতি নেতাদের তারা নাকি সাধারণ কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে সকল সেক্টর তাদেরই নিয়ন্ত্রণে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি খুচরা বাজার থেকে পাইকারি আড়ৎদারদের অভিযোগেও উঠে এসেছে ওইসব নেতাদের অবাধে চাঁদাবাজির কথা। তিনি অতিষ্ট ভাষায় আরো বলেন ক্ষমতা না এসেই এমন অত্যাচার এর আগে কখনো দেখি নাই তবেকি তারাই সরকার তথা প্রশাসন পরিচালনা করছে নাকি অন্তর্বর্তী সরকার এদের কাছে জিম্মি হয়ে গেছে। কারণ সরকার এত শক্ত অবস্থানে থাকা সত্বেও কয়েকদিনের ব্যবধানে বাজার উলটপালট ফলে সাধারণ ভক্তারা এখন হতাশয়।
এদিকে খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির এক নেতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন বর্তমান ক্ষমতায় থাকা সরকার দেশের সার্বিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সর্ব বিষয়ে তৎপরতা ও সূক্ষ্ম নজর রেখে সর্বপ্রথম সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকা স্বাভাবিক সহনশীল রাখতে নিত্য পণ্যের বাজার সিন্ডিকেটবিহীন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য
বাজার পর্যায় নজর রেখে বিগত দিনের কালোবাজারি সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে সক্ষম এবং বাজার দর স্বাভাবিক রেখে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা অনেকটাই স্বস্তিতে রেখেছিল। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ এবং কিছু দলীয় কতিপয় নেতারা চাঁদাবাজি দখলদারি সহ বিভিন্ন অপকর্মর সাথে জড়িয়ে পড়েছে যার প্রভাব এখন উচ্চ ব্যবসায়ী থেকে নিম্ন শ্রেণি পর্যন্ত যার কারণে ব্যবসায়ীরা সকল দিকে অর্থনৈতিকভাবে সামাল দিতে গিয়ে পুঁজি হারানো লোকসানের হুমকির মুখে পড়েছে ফলে বাধ্য হয়ে তারা সিন্ডিকেট করে আবারও দ্রব্যমূল্যে অনেকটাই বেশি বাড়িয়ে বিক্রি করছে। আর এতে ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ জনগণ ফলে সরকারসহ প্রশাসন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছে বাজার পর্যায়ে জোরদার মনিটরিং পরিচালনা করার জন্য।