বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো:
সামাজিক ঘাতক ব্যাধির অপর নাম বাল্যবিবাহ মাদকাসক্তি আর বিবাহ বিচ্ছেদ। বিষয় তিনটির ওপর গুরুত্বারোপ পর্যালোচনা করে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সামাজিক অবক্ষয়ের জন্য সর্বমহলের চিন্তাধারায় উঠে এসেছে সবথেকে আলোচিত তিনটি বিষয় আর উল্লেখযোগ্য এই তিনটি বিষয়ের মধ্যে রয়েছে বাল্যবিবাহ মাদক ও বিবাহ বিচ্ছেদ। আর এই বিষয়গুলো সমাজে একেবারেই ক্যান্সারের রূপ ধারণ করেছে। একদিকে সর্বগ্রাসী মাদকের মরন ছোবলে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ। অপরদিকে বাল্যবিবাহের নামের মরীচিকায় কুরে খাচ্ছে অর্ধ ফুটন্ত ফুলের কুড়ি ফলে অকালে ঝরে পড়ছে বৃত্ত থেকে। অপরদিকে দাম্পত্য জীবনের কলহ পরকীয়া আর নেশাদ্রব্য গ্রহণের কারণে অসংখ্য পরিবার অভাব অনটন সংসারে স্ত্রীর সন্তানদের প্রতি অনীহা আর এ সকল ঘটনার অন্তরালে রয়েছে একমাত্র মাদকের অশুভতা পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির সংস্পর্শে বিস্তীর্ণভাবে ছড়িয়ে পড়ছে পারিবারিক অন্তরকন্দলের আরেক নাম পরকীয়া। আর এসব কিছুর কারণেই প্রতিনিয়ত ঘটছে বিবাহ বিচ্ছেদ অন্ধকার নেমে আসছে দাম্পত্য জীবনে। ফলে একটি সুন্দর সাজানো গোছালো পরিবার মুহুর্তের মধ্যে তছনছ হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে অজানা গহীন কালো আঁধারে। আর এদের মরীচিকাবৃত ভুল সিদ্ধান্তের কারণে ওই সকল অশান্তময় পরিবারের সন্তানদের সর্বকুল হারিয়ে সয়ারে ভেসে যাচ্ছে জীবন অজানা স্রোতে।
সে লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলোর ওপর সরকার কঠোর অবস্থানে থেকে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলোকে সংগঠনিকভাবে এগিয়ে এসে সকলকেই সামাজিকভাবে অন্ধকার জগতের অভিশপ্ত জীবন থেকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে অসচেতন মানুষদের পাশে থেকে সুশিক্ষা সৎ পরামর্শ দিয়ে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যেতে বলেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পাশাপাশি বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পূর্বে নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেন তারই প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের গুরুত্বপূর্ণ মাদকবিরোধী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একান্ত পর্যালোচনায় দেশের প্রশাসন মহলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বলেছিলেন মাদকাসক্তি ও বাল্যবিবাহ জাতির জন্য অভিশাপ।
সে লক্ষ্যে আমাদের সরকারের প্রচেষ্টায় দেশ বাল্যবিবাহ থেকে অনেকাংশে মুক্ত হলেও বিবাহ বিচ্ছেদের হার বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন বিবাহ বিচ্ছেদ বাল্যবিবাহ প্রতিটা পারিবারিকভাবে গৃহ কোন্দলের অন্তরালে রয়েছে মাদকের অতপ্রতভাবে সম্পৃক্ততা। সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মাদক মুক্ত দেশ গড়তে সংশ্লিষ্টদের আরো আন্তরিকভাবে নিষ্ঠা ও কঠোর অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি সামাজিক স্পর্শকাতর দৃষ্টিভঙ্গিতে বলেন আজ আমরা প্রকাশ্য দেখতে পাচ্ছি প্রতিটি পরিবারে এবং সমাজের অনেকাংশেই গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক ভূমিকায় থেকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ববান ব্যক্তিরা নিজ নিজ সংসারের দায়িত্বভার পালন করছেন কোন ক্ষেত্রে তাদের অবহেলা এবং নৈকতিকতা ইস্খলনের কারণে বাবা-মার অনৈতিক কার্যকলাপ ঝগড়া বিবাদ সংসারিক অশান্তির অন্তরকোন্দল দেখে একপর্যায়ে অতিষ্ট হয়ে বকেযায় সামাজিকভাবে ওই সকল পরিবারের ছেলেমেয়েরা।
তবে এক্ষেত্রে আমরা যারা পারিবারিকভাবে অভিভাবক রয়েছি আমাদের উচিত একটি ফুলের বাগান সুন্দরভাবে পরিচর্যা করলে যেমন বাগানটি সুশোভিত হয় পাশাপাশি তেমন অপরিচর্যা ও যত্নে না থাকলে বাগানটি সৌন্দর্য বর্ধনের পরিবর্তে আগাছার রূপ ধারণ করে ফলে সেখানে সুন্দর ফুল প্রস্ফুটিত হওয়ার পরিবর্তে বিষাক্ত পোকামাকড়ের বসবাসের অভয়ারণ্য হয়ে ওঠে। অতএব ক্ষেত্রটা ব্যবহারের অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। পাশাপাশি স্বামী স্ত্রী সন্তান বন্ধুসুলভ সম্পর্কের কোন বিকল্প পন্থা নাই।
ফলে সংসার জীবনের পথ চলার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থেকে সামাজিকতা রক্ষার ক্ষেত্রে পারিবারিক বন্ধন অটুট রেখে সামাজিক অবক্ষয়কে রোধ করার জন্য প্রতিটি পরিবারের প্রত্যেক সদস্যদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও দায়িত্ব। কারণ সামাজিক অবক্ষয়ের জন্য এক মাদকই যথেষ্ট যার ডালপালা বিস্তীর্ণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে যত্রতত্র সামাল দিতে হবে নিজেদেরই এগিয়ে আসতে হবে সচেতনতার সাথে রুখতে হবে মাদক বাল্যবিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদের মতন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কে।