জুলহাস উদ্দীন,তেঁতুলিয়া পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
সারাদেশে সাংবাদিকদের ডাটাবেইড তৈরি করা কাজ চলোমান।বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, সারাদেশে ৫০ হাজার সাংবাদিক আছে। এসব সাংবাদিকদের ডাটাবেইজ তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। মফস্বল সাংবাদিকদের ডাটাবেইজ তৈরির জন্য আমরা জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছি। ডাটাবেইজ তৈরির ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই বাছাই করা হবে। যাচাই বাছাই শেষে বার কাউন্সিলরের মত আমরা প্রকৃত সাংবাদিকদের সনদ দেবো। এই সনদধারীরাই কেবল নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ন্যুনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ধরা হয়েছে স্নাতক ডিগ্রী পাশ। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে ৫ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা সম্পন্নদের শিক্ষাগত যোগ্যতার এই শর্ত কিছুটা শিথিল থাকবে। আগে সাংবাদিকদের নামে প্রেস কাউন্সিলে মামলা দেয়া হলে সেখানে রায়ে শুধুমাত্র তিরস্কারের বিধান ছিল। এখন সেটি সংশোধিত হয়ে ৫ লাখ টাকার জরিমানার বিধান সংযুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার পঞ্চগড় সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ” প্রেস কাউন্সিল আইন,আচরণবিধি ও সাংবাদিকতার নীতিমালা” শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এ সেমিনারের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রেসকাউন্সিল আইন প্রণয়ন করেন। এই আইনটি নতুন করে চুড়ান্ত করা হয়েছে। সংসদে পাস হওয়ার অপেক্ষায় আছে। কমিটির সদস্য সাংবাদিকরা যারা সুপারিশ করেছিলেন এখন তাদের মধ্যে কেউ কেউ এই আইনের বিরোধিতা করছেন।
সেমিনারে মুল আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রিয়াজউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিকুল ইসলাম।
পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, সাধারণ সম্পাদক জামিল চৌধুরী ডলার, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শহীদ, লুৎফর রহমান, শাহজালাল, আব্দুর রহিম সেমিনারে প্রেস কাউন্সিল আাইন ১৯৭৪, আচরণবিধি এবং সাংবাদিকতার নীতিমালা বিষয়ে কতিপয় সুপারিশ পেশ করেন।
দিনব্যাপী সেমিনারে জেলার ৫০ জন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।