মশিউর মিলন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে কলেজ ছাত্রীকে (১৭) গণধর্ষণের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি বাবু ওরফে পিস্তল বাবুকে দীর্ঘ ২০ দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গত ১২ জুন বগা ইউনিয়নের শাপলাখালী গ্রামে গণধর্ষণের স্বীকার হয় ডা. ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্রী। এঘটনায় ১৪ জুন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাবু মৃধা ওরফে পিস্তল বাবুকে প্রধান আসামি করে ৩ জনের নামে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী।
ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন কলেজ ছুটির পরে তার বাড়িতে ঘরের কাজে নিয়োজিত মিস্ত্রি সোহেল খলিফার সাথে বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। বগা ইউনিয়নের শাপলাখালী গ্রামে পৌঁছালে স্থানীয় বখাটেদের নিয়ে তাদের পথরোধ করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাবু মৃধা ওরফে পিস্তল বাবু। পরে ভুক্তভুগীকে হাত ধরে টেনে জনৈক শিকদার বাড়ির সামনের একটি টিনসেট ঘরে ঢুকিয়ে পিস্তল দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ধর্ষণ করে বাবু। পরবর্তীতে মিস্ত্রি সোহেলকে ডেকে তাকে দিয়েও ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করায় বাবু এবং এই ঘটনা তিনি মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখে। তবে ঘটনার ২০ দিন পেড়িয়ে গেলেও প্রধান আসামি বাবুকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান বলেন, আসাদুজ্জামান বাবু মৃধা স্থানীয়দের কাছে আতঙ্কের এক নাম। সে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়ে এলাকার মানুষের ক্ষতি সাধন করেছে। এমনকি ফেইজবুকে আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি দিয়ে পুলিশের হাতে আটকও হয়েছিলো সে। এরপর সবাই তাকে পিস্তল বাবু নামেই চেনে।
বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ঘটনার সাথে সাথেই একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধান আসামি বাবুকে গ্রেফতারের জন্য জোর চেষ্টা অব্যাহত আছে। মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ছবি – আসাদুজ্জামান বাবু মৃধা ওরফে পিস্তল বাবু