রুপম চাকমা বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি
৪ জন জুম্ম নেতা মারার ষড়যন্ত্র ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফাঁস করে দিলো।
গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ৪ জন তরুণ জুম্ম নেতা বিপুল চাকমা,সুনিল বিকাশ ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রহিন বিকাশ ত্রিপুরাকে বাংলাদেশের অনিল পাড়ায় হত্যা করা হয়।তাদেরকে মুখোশ পরে গিয়ে হত্যা করা হয়,যাদেরকে সেনাবাহিনীরা স্কট দিয়ে নিয়ে গেছে। সে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক প্রতিক্রিয়া এসেছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশন সহ অনেক সংগঠন এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।এছাড়াও ভারতীয় অনেক সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন নিন্দা জানিয়ে ৪ জন সেনা অফিসারকে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে।
কিন্তু গতকাল সে ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। নর্থ ইস্ট সংবাদপত্রের সিনিয়র সাংবাদিক ও শান্তিরক্ষা পর্যবেক্ষক চন্দন নন্দী এ বিষয়টি উন্মোচন করেন।তিনি বলেন গত ৯ডিসেম্বর জেএসএস সভাপতি সন্তু লারমা বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই ও সেনা অফিসারদের সাথে আলোচনা করেন,এবং ১১ ডিসেম্বর পানছড়িতে বিরোধী দলের ৪ জন তরুণ নেতাকে হত্যা করা হয়।
সাংবাদিক চন্দন নন্দী ভারতের গোয়ন্দা সংস্থা তথা ‘র’ অফিসারদের সাথে কথা বলেন।ভারতের গোয়েন্দা অফিসারদের মতে,সন্তু লারমা যে বার্মা,পাকিস্তান, চীনের থেকে অস্ত্র কিনতে চেয়েছিল সে ঘটনা ইউপিডিএফ কর্তৃক প্রচার করে দেওয়ায় এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করে জেএসএস।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে চন্দন নন্দী ভারতের একজন সিনিয়র সাংবাদিক, যিনি ভারতের বড় বড় সংবাদপত্রে জার্নাল লেখেন।এবং তার পিতা ভি.ভি. নন্দী ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর এডিশনাল সেক্রেটারি তথা সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন।সে ক্ষেত্রে চন্দন নন্দী ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে থাকেন।
চন্দন নন্দীর রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা তাকে এ তথ্য দিয়েছে। সে ভিত্তিতে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি উন্মোচন হয়েছে। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা সন্তু লারমা কোথায় যায়,কি করে, কার সাথে মিশে সে সকল তথ্য পায়,অর্থাৎ তাকে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে।।
উল্লেখ্য এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা জেএসএস করলেও মুখোশদের দিয়ে বাস্তবায়ন করা হয়।যাহাতে সন্তু লারমা ও জেএসএস এ হত্যাকাণ্ডের দোষী সাব্যস্ত হওয়া থেকে আড়ালে থেকে যায়।
উল্লেখ্য এ হত্যাকাণ্ডের সাথে শুধু জেএসএস,মুখোশ বা আর্মিরাই জড়িত নয়,সরকারি দলও এ হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষ মদদ দিয়েছে।
