মোঃ রিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জে আবারো নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫(বন্দর- সদর)এর এমপি সেলিম ওসমানের দেওয়া শর্তে রাস্তায় দখল করে বসেছে হকাররা।চাষাঢ়া মাধবী প্লাজা এলাকার পাশ থেকে মেট্রো হল পর্যন্ত হকারদের বসার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।শুক্রবার সকাল থেকেই চাষাঢ়ায় জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন হকারেরা।বিক্রির জন্য মালামাল সাজানোয় ব্যাস্ত সময় পার করেন তারা।সকাল আনুমানিক প্রায় ১১ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়-মিশনপাড়ার মোড় এলাকা হতে চাষাঢ়া মাধবী প্লাজা পর্যন্ত রাস্তার এক পাশ যানবাহন বন্ধ রাখা হয়েছে।সেখানে হকাররা এক এক করে পসরা বসাচ্ছেন।কেউ কেউ ক্রেতাদের মনোযোগ কাড়তে পণ্য সামগ্রীর মূল্য হাকিয়ে যাচ্ছেন।বেলা গড়ার সাথে সাথে ক্রেতাদের ভিড় জমতে দেখা যায় সেখানে।মেয়েদের ওড়না,থ্রি-পিছ,ফ্রকসহ বিভিন্ন রংয়ের পোশাকের মধ্যে থেকে পছন্দের কাপড়টি বেছে নিয়ে হকারদের সাথে দর কষাকষি করছেন আগত ক্রেতারা।হকারদের সাথে কথা হলে তারা জানান-পবিএ ঈদুল আজহা পর্যন্ত তারা বসতে পারছেন।সপ্তাহের রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সড়কের পাশ ঘেষে যান চলাচলের এক অংশ ছেড়ে তারা বসবেন। শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিনগুলোতে সড়কের এক অংশে বসবেন তারা।যেখানে ওয়ান ওয়ে সড়কে যানবাহন আসা-যাওয়া করবে।বহু দিন পর ব্যবসা করার সুযোগ পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করছেন হকাররা।হকারদের সাথে কথা বলে জানাযায়-তারা নিজেদেরে জন্য বসার স্থান পেয়েছে,এটা তাদের একটা প্রাপ্তি।নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং তিনি তাদের দিকে তাকিয়েছেন বলে জানান হকারেরা।তারা আরো বলেন-আমরা দুমুঠো খাবার খেতে পারি সে লক্ষে রাস্তায় নেমেছিলাম।আমরা চাইনি যে আমরা বিক্ষোভ করি ও সমাবেশ করি।পেটের দায়ে আমরা তা করতে বাধ্য হয়েছি।আমরা যে বসতে পেরেছি তাতে আমরা অনেক খুশি। আমরা আরও খুশি হবো যদি ঈদের চাঁদ রাত পর্যন্ত এইভাবে বসে জীবিকা নির্বাহ করতে পারি।প্রধানমন্ত্রী ও এমপির প্রতি আমাদের অনুরোধ আগামী দিনগুলোতে আমরা যাতে এভাবেই বসার সুযোগ পাই।আমারা সবাই পরিবার-স্বজন নিয়ে সাচ্ছন্দে ঈদুল ফিতর উৎযাপন করতে পারি এইটুকুই কামনা। আমরা চাই এমপি সাহেব আমাদের ছায়া হয়ে থাকেন।একদিকে হকাররা যেমন খুশি, অপর দিকে খুশি হয়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরাও।এখানে আজ হকার বসতে দেখে নিন্ম-আয়ের মানুষ আসতে দেখা যায়।কম দামে ভালো কাপড়-চোপড় কিনতে পারায় খুব খুশি নিন্ম-আয়ের মানুষজন।