মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের কালকিনিতে সরকারি জমি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী নুপুর বেগম নামে এক গৃহিনী। তবে স্থানীয় সাবেক এক ইউপি সদস্য ও কৃষকলীগ নেতাসহ একটি প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ দিকে ওই প্রভাবশালীদের বিচার ও হাতিয়ে নেয়া টাকা ফেরত পাওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন ওই ভুক্তভোগী নারী। আজ শনিবার সকালে ওই ভুক্তভোগীর নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। নুপুর বেগম উপজেলার রমজানপুর ইউনিয়নের উত্তর রমজানপুর গ্রামের ইব্রাহিম হাওলাদারের স্ত্রী।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী নুপুর বেগম বলেন, আমার রমজানপু ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন নিজ বসতবাড়ির সামনের সড়কের পাশের জমি আমার নিজ প্রয়োজন হওয়ায় স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জামাল খাঁনের মাধ্যমে তার ছেলে রাজিব হুসাইন রাকিব, জামালের ভাই কৃষকলীগ নেতা শাহআলম খাঁন ও রিপন খাঁনের কাছ থেকে প্রায় সোয়া দুই শতাংশ জমি ক্রয় করি। ক্রয়কৃত জমিতে আমি দোকান ঘর নির্মান করি। পরে ওই ক্রয়কৃত জমির নামজারি করার জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে সহকারি ভূমি কর্মকর্তা বলেন এটাতো সরকারি জমি। তাই আমি আমার নামে নামজারি করতে পারি নাই। তিনি আরো বলেন জমি ক্রয় করার জন্য দাতাদেরকে বিশ লাখ টাকা দিয়েছি। তবে দলিলটিতে খরচ কমানোর জন্য চার লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। আমার কাজ থেকে ওই প্রভাবশালী মহল প্রতারনা মাধ্যমে সরকারি জমি বিক্রি করে যে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে,আমি সবটাকা ফেরত চাই এবং তাদের বিচার দাবি করি। আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য জামাল খাঁন বলেন, আমরা নুপুর বেগমের কাছে পাঁচ লাখ টাকায় জমি বিক্রি করেছি। তবে ওই জমি সরকারি কিনা আমরা জানি না।
এ ব্যপারে ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান আলি আকবর বলেন, সরকারি জমি বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। এটা প্রতারনা,এদের অবশ্যই বিচার হওয়া উচিত।
ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা মোঃ হুমাউন কবির বলেন,নুপুর বেগমের ক্রয়কৃত জমিটি সরকারি হওয়ায় তার নামে নামজারি করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ উল আরেফীন বলেন, বিষয়টি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

