আবদুর রহিম- কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন নিহতের তোতার ছেলে।
সোমবার ( ২ সেপ্টেম্বর ) সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (৭ আগস্ট) রাত ৯ টায় সময় আবদুল মতিন তোতা চরএলাহী বাজারের একটা ফল দোকানে বসা অবস্থায় সন্ত্রাসীরা দেশী অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। প্রথমে তোতার মাথায় কুড়াল দিয়ে কোপায়। এরপর এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতবিক্ষত করে। প্রথম কোপে তার মাথার মগজ রাস্তায় ছিটিয়ে পড়ে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে তারা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। অবস্থার আরও অবনতি হলে ঢাকার ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করে। শুক্রবার বিকেলে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
গত ১ সেপ্টেম্বর তার নিজ এলাকায় সকাল ১০টায় চরএলাহী হাইস্কুল মাঠে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় অংশগ্রহণ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইসচেয়ারম্যান মোঃ শাহাজাহান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-পল্লী ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএস.সিসহ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাককে প্রধান আসামী করে ৩১ জনের বিরুদ্ধে তোতার ছেলে ইসমাইল বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় দায়ের করে।
৩১ জনের মধ্যে ২ ও ৩ নাম্বার আসামী চরএলাহী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোঃ ইসমাঈল ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সাহাব উদ্দিন ও ৪ নাম্বার আসামী ইসমাঈল এর ভাই বিএনপি নেতা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। অন্যরা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি প্রনব চৌধুরী বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান তোতার ছেলে ইসমাঈল থানায় মামলা দায়ের করেছে। অতি দ্রত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।