বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
খুলনা নগর ভবনের মেয়র পদের দায়িত্বভার বুঝে নিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ।
উল্লেখ্য গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে ২০২৩ সালে ১২ জুন নির্বাচিত মেয়রগন সাবেক শাসকদল আওয়ামী লীগের অন্তর্ভুক্তি হওয়ার কারণে দেশের সকল সিটি কর্পোরেশনের অতি গুরুত্বপূর্ণ মেয়রের দপ্তর শূন্য রেখে আত্মগোপনে রয়েছে বিধায় নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে ফলে স্থানীয় সরকার সিটি কর্পোরেশন আইন ২০০৯ অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত আধ্যাদেশের ভিত্তিতে ১৯ আগস্ট সন্ধ্যায় স্হানীয় সরকার বিভাগের ৪৬,০০.০০০০.৭০.১৮.০০০৬.২৪
৭৯৭ নং প্রজ্ঞাপনে সিটি কর্পোরেশন মেয়রগণকে অপসারণ এবং ৪৬.০০.০০০০.০০০.০৭০.১৮.০০০৬.২৪৮০০ নং প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলামের নিকট থেকে সংবিধানি অনুযায়ী খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কেসিসির প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণ করলে বিভাগীয় কমিশনার বলেন সিটি কর্পোরেশন অর্থাৎ নগর ভবন সাধারণ জনগণের সেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। আর গুরুত্বপূর্ণ এই দপ্তরটি দীর্ঘদিন শূন্য থাকলে নগরের বসবাসরত জনসেবাকে অগ্রাহ্য করা হবে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার বিভাগের সংবিধান অনুযায়ী আমাকে নগর ভবনের গুরু দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়েছে আর এই দায়িত্ব অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব বলে আমি মনে করছি আর এই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নগর ভবনের কর্মরত সকল কর্মকর্তা প্রশাসন ও নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন বলে আমি মনে করছি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সার্বিক মোঃ হুসাইন শওকত, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার উন্নয়ন আবু মনজুরুল আলম, কেসিসির সচিব অতিরিক্ত দায়িত্ব সানজিদা বেগম, প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী যান্ত্রিক মোঃ আব্দুল আজিজ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার হালদার, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান, প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবিরুল জব্বার, রাজস্ব কর্মকর্তা এস কে এম আসাদুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ করীম, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ ওহিদুজ্জামান খান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শরীফ সামিউল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা মারুফ রশিদ, চিফ অ্যাসেসরশেখ হাফিজুর রহমান, বাজার সুপার এম এ মাজেদ, লাইসেন্স অফিসার যানবাহন খান হাবিবুর রহমান, আইটি ম্যানেজার মোহাম্মদ হাসান হাসিবুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কেসিসির সূত্রে জানায় খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক গত বছরের ১২জুন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চেয়ে এক লাখের বেশি ভোট পেয়ে কেসিসির মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর গত বছরের তিন জুলাই তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছে শপথ গ্রহণ করেন। কিন্তু আইনি বাধ্যবাধকতায় দায়িত্বভার গ্রহণ করতে পারেননি। পরে গত ১১ অক্টোবর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সর্বশেষ সরকার পতনের পর ৪ ও ৫ আগস্ট তার বাড়িতে একাধিকবার হামলা ও ভাঙচুর করে তছনছ করা হয়। ৪ আগস্ট থেকে তাকে আর খুলনায় দেখা যায়নি বিধায় সংবিধানিক অনুযায়ী তার পদ শূণ্য ঘোষণা করে সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসাবে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কে নিয়োজিত করেছে স্থানীয় সরকার প্রশাসন।