মোঃরিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ :
নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।সোমবার(৫ ই ফেব্রুয়ারি)সকালে খাঁনপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।এর পূর্বে রবিবার দিবাগত রাতে ফতুল্লা লাকী বাজার এলাকায় তার নিজ বাড়িতে গৃহবধু অচেতন হয়ে পড়লে,তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
নিহত গৃহবধুর নাম জেসমিন বেগম(৩৭)।জেসমিন চাঁদপুরের উত্তর মতলব থানার দশআনী গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার মেয়ে।তিনি স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে লাকী বাজার এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- রাতে গৃহবধূ জেসমিন বেগম ঘরের ফ্যান মুছতে গিয়ে পড়ে আহত হলে তাকে নগরীর খানপুর হাসপাতাল নেওয়া হয়।পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেলেও মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের পরে নিশ্চিত করে বলতে পারবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তাছাড়া আঘাতের কারণে নাকি অন্য কোন কারণে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।খবর পেয়ে পুলিশ এসে নিহতের লাশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।নিহতের স্বজনরা দাবি করেন-নিহত জেসমিন বেগমের চার ভাই প্রবাসী হওয়ায় নানা অজুহাতে তার কাছে টাকা চাইতেন স্বামী আলী হোসেন।স্বামী আলী হোসেন কে দফায় দফায় ২০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।১০ দিন আগেও জেসমিনকে টাকার জন্য মারধর করে।ওই নারী তার মেজো ভাইকে মারধরের ঘটনা জানান।এ নিয়ে ওই রাতে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।এই ঘটনার প্রায় ১০ দিন পরে রবিবার রাতে নিহতের পরিবারকে স্বামী ফোন করে জানান-জেসমিনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে।পরে জেসমিনের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এসে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশকে খবর দেন।পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।এ সময় হাসপাতাল ফটকে আহাজারি করে নিহতের স্বজনরা বলেন জেসমিনকে পিটিয়ে ও আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।তারা জড়িতদের শাস্তি দাবি জানান।ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর(অফিসার ইনচার্জ)নুরে আজম মিয়া বলেন-খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। নিহতের স্বজনদের দাবি এটা হত্যাকাণ্ড।তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত স্বামীকে থানায় নিয়ে এসেছি।মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানাযায়।