বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
এবার দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে দুদকের বেড়াজালে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ফেঁসে যেতে পারে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এখানে দুদকের অভিযান সূত্রে ৩৩ লক্ষ টাকার কাজে ২৬ লাখ টাকা গায়েব এর সত্যতা উদঘাটন হয়েছে। উল্লেখ্য নগরীর জোড়াগেট ওয়ার্কশপের দুটি প্রকল্পের সিভিল ও মেকানিক্যাল কাজের ক্ষেত্রে চরম দুর্নীতি ও অনিয়মের আভাস পেয়ে সরজমিনে তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের তদন্ত সূত্রে বেরিয়ে এসেছে প্রকল্প অনিয়ম ও দুর্নীতির আসল ঘটনা এ সময় দুদক খুলনার উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন আমরা বেশ কিছুদিন যাবত খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা শুনেছি জেনেছি এবং বিভিন্ন সূত্র ধরে তদন্ত করে আসল ঘটনা উদঘাটন করার চেষ্টা করেছি। আর তারই সূত্র ধরে মাত্র ৩৩ লক্ষ টাকার কাজের ২৬ লক্ষ টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে এসেছে আমাদের তদন্ত সূত্রে জানতে পেরেছি প্রকল্পের সিভিল ও মেকানিক্যাল দুটি কাজেই অনিয়ম হয়েছে আত্মসাৎ হয়েছে ২৬ লক্ষ টাকা।এ সময় তিনি আরো উল্লেখ করেন খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্পে ৩৩ লাখ টাকা অনুমোদনে কল কব্জা মেরামত ও যন্ত্রাংশ সংযোজনর কাজ ছিল। এখানে আরো উল্লেখ রয়েছে যে সাতটি প্যাকেজের মধ্য পাঁচটি মেরামত ও দুটি ছিল যন্ত্রপাতি সংযোজনের। দুদকের পরিচালক আরো বলেন যন্ত্রপাতির নামে বরাদ্দকৃত ৩৩ লক্ষ টাকার মধ্যে যৎসামান্য কিছু কাজ করে অনুমোদনকৃত অর্থের সিংহভাগ ২৬-২৭ লাখ টাকার কাজের কিছু না করেই বিল উত্তোলন করেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ফলে মেরামতের প্যাকেজ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আরো গভীর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করব। পাশাপাশি ওই অফিসের একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি জানিয়েছেন এই প্রকল্পের টাকা নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ অফিসে নানান জল্পনা-কল্পনা চলছে এবং কারো কারো মধ্যে অর্থ নিয়ে বাকবিতণ্ডাও হয়েছে আর তখন থেকে আমার ধারণা হয়েছে কাজের ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত অর্থের তুলনায় কাজ হচ্ছে না এবং যতটুকু কাজ হয়েছে তা একেবারেই যৎসামান্য আর এটুকু কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটির এত টাকা বরাদ্দ করার কোন প্রয়োজন হয় না। এ সময় তিনি আরো বলেন বিষয়টি জানাজানি হলে অনেকেই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।দুদকের এই অভিযানের সময় দুদকের কর্মকর্তা, গণপূর্ত ও সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে প্রকল্পটিরে কাজের সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিভিন্ন পন্থায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে অভিযানিক দলের কর্মকর্তারা বলেছে আজ এখানেই অভিযান শেষ নয় তবে তদন্ত করে সত্যতা উদঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।