জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
নড়াইলের ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে অনেক দিন যাবত নেই কোনো ঔষধ। পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, প্রসূতি স্বাস্থ্য সেবাসহ গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্র।এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর গ্রামের অধিকাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ নির্ভরশীল।স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামের সহজ,সরল সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রটি সম্পূর্ন ফাঁকা পড়ে আছে। একটি কক্ষে চুপচাপ বসে আছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার। কিছু সময় পর কাশি, জ্বর নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসেন আলোকদিয়া গ্রামের জামাল শেখ। ডাক্তারকে তার সমস্যার বিষয়টি জানানোর পর হাতে ধরিয়ে দেন একটি ব্যবস্থাপত্র। ব্যবস্থাপত্র হাতে নিয়ে বের হওয়ার সময় জামাল শেখের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, হাসপাতালে এসেছিলাম ডাক্তার দেখিয়ে ফ্রী ঔষধ নিব, কিন্তু হাতে ধরিয়ে দেন একটি ব্যবস্থাপত্র। কোন ওষুধ না থাকায় ঔষধ দেয়নি। এর আগে এখানে অনেক রোগী আসতো এখন দিনে ১ জন বা ২ জন আসেন। তিনি আরো বলেন, আমরা অনেক গরীব মানুষ। আমরা এখানে ফ্রি ঔষধ পেতাম গত ৬ থেকে ৭ মাস ধরে ঔষধ নেই। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় ঔষধ টা যেন সঠিক সময় পাই।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে নড়াইলের তিনটি উপজেলায় ৪০ টি ইউনিয়ন পরিবার কল্যান কেন্দ্র এবং একটি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে সিভিল সার্জেন্ট কর্তৃক ৭ টি পরিচালিত হয়। বাকিগুলো পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর থেকে পরিচালিত হয়। সিভিল সার্জেন্ট কর্তৃক পরিচালিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোর মধ্যে সদর উপজেলায় তিনটি। ও লোহাগড়া উপজেলায় তিনটি এবং কালিয়া উপজেলায় একটি পরিচালিত হয়ে থাকে।
নড়াইল জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আলিফ নূর সাংবাদিকদের বলেন, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রগুলোতে ঔষধের সংকট রয়েছে। ঔষুধ সংকটের কারণে রোগী কমে যাচ্ছে। ঔষুধের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম চলছে। আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ঔষুধ সংকটের সমস্যা কেটে যাবে।