মোঃ রিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জঃ
অসুস্থ শ্রমিককে ছুটি না দেওয়ায় চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর অভিযোগ তুলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা।অবরোধে তীব্র যানজট দেখা দেয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে।সোমবার সকাল ১০টার পরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের মদনপুর অংশে অবরোধ করেন শ্রমিকরা।এতে চট্টগ্রামমুখী লেনে প্রায় ৬ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।সূএে জানাযায়-নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার ‘লারিস ফ্যাশন’ নামে একটি পোশাক কারখানার একজন নারী শ্রমিক অসুস্থ অবস্থায় ডিউটি করে যাচ্ছিলেন।গত রোববার তিনি অসুস্থতা বোধ করলে কর্তৃপক্ষের কাছে ঐ নারী শ্রমিক ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ ঐ শ্রমিকের আবেদনকে কোন প্রকার মূল্যায়ন না করে কাজ করতে বাধ্য করেন। এমতাবস্থায় ঐ নারী কর্মরত অবস্থায় অতিরিক্ত অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক সহকর্মীদের সহযোগিতায় একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।পরে সেখানকার(ঢামেক)কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।অবরোধকারী শ্রমিকদের দাবি,তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় মালিকপক্ষ দায়ী। অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তারা ছুটি না দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করালে চিকিৎসার অভাবে তার মৃত্যু ঘটে। মালিকপক্ষের কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের দাবিতে তারা আন্দোলনে নেমেছেন।ঘটনার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে- লারিস ফ্যাশন কোম্পানির সিইও শিমুল জানান-গতকাল আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানে তার শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালে তার মৃত্যু ঘটে।এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই।আমরা আমাদের সর্বাত্মক দিয়ে চেষ্টা করেছি।তিনি আরো বলেন-মৃত্যুর পর দাফন সম্পন্ন করতে যত কার্যক্রম ছিলো সবই আমাদের কোম্পানি থেকে বহন করা হয়েছে।মৃত্যুর পেছনে তো কারো হাত নেই ।আমরা ঐ নারী শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি-তাদের কথা দিয়েছি,সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করবো।কোম্পানি থেকে তাদের জন্য অর্থিক একটা ব্যবস্থা করা হবে।কোম্পানির শ্রমিকদের দাবি,ঐ ফ্লোরের দায়িত্বপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করা লাগবে,আমরা তাতেও রাজি হয়েছি।কিন্তু তারা তবুও আন্দোলনে নেমেছে।ঘটনার ব্যাপারে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)লিয়াকত আলী জানান- সহকর্মীর মৃত্যুতে গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী এমন দাবি করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছে।আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে আমাদের থানা পুলিশের সঙ্গে জেলা, হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ এবং পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়ন রয়েছে।

