পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি,
পঞ্চগড় বোদা উপজেলার গাইঘাটা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোকসেদ আলী, এর উদাসীনতার কারনে খেসারত দিতে হলো নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইয়াসমিন আক্তার কে।
সরে জমিনে গিয়ে জানা যায়, গাইঘাটা দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ইয়াসমিন আক্তার অষ্টম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত দুই বছর শুধুই ছাত্রী ছিলেন। মাদ্রাসার রেজিস্টার খাতায় তার কোন নাম নেই। ইয়াসমিন আক্তার এর পিতা একজন ভ্যানচালক তিনি বলেন আমি ভ্যান চালিয়ে আমার মেয়ের মাদ্রাসার যাবতীয় খরচ বহন করেছি আগামীতে আমার মেয়ের দাখিল পরীক্ষা দেওয়ার কথা।
কিন্তু ভাববার বিষয় দাখিল পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করতে আসলে জানতে পারি আমার মেয়ে অষ্টম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত শুধু মাদ্রাসায় একজন শিক্ষার্থী ছিলেন মূল রেজিস্টার খাতায় তার কোন নাম নেই। এবং এত টাকা খরচ করে আজ দেখতে পাচ্ছি গাইঘাটা দাখিল মাদ্রাসায় আমার মেয়ে একজন বহিরাগত শিক্ষার্থী।
কিন্তু এই এই প্রশ্ন মাদ্রাসার সুপার মোকসেদ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন ভাবে তালবাহানা শুরু করেন।
পরবর্তীতে এলাকাবাসীর চাপে সুপার মোকসেদ আলি ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে ক্ষমা চান।
এখন বলার বাকি থাকে না যে আমার মেয়ের জীবন থেকে দুইটি বছর পিছিয়ে গেল।
এর জন্য কে দায়ী আর কেনই বা গাইঘাটা দাখিল মাদ্রাসার সুপার এমনটি করলেন এর বিচার চাই এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের কাছে।