ঢাকাTuesday , 23 January 2024
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. ইতিহাস
  10. কবিতা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুন
  14. খেলাধুলা
  15. চাকুরী
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পঞ্চগড় প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে মিলেনা চিকিৎসক কম্পাউন্ডারে চলে চিকিৎসা, অবহেলায় ছাগলের মৃত্যুর অভিযোগ কাঁদছে খামারি।

দেশ চ্যানেল
January 23, 2024 1:17 pm
Link Copied!

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড় সদর উপজেলার মীরগড় এলাকার দরিদ্র রঙমিস্ত্রী আব্দুর রহমান লিটন। তার কষ্টে পালিত দুটি ছাগল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সোমবার ছাগল দুটিকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ছোটেন পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপতালে। তবে সেখানে গিয়ে কোন চিকিৎসকের দেখা পাননি তিনি। অফিসের ভেটেনারি ফিল্ড এসিসটেন্ট এসে চিকিৎসা দেয়। সেই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেন। কিন্তু তাতে কোন উন্নতি না হওয়ায় আবারো মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ছাগল দুটি নিয়ে প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে হাজির হন লিটন। দুই ঘন্টা পরে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কম্পাউন্ডার রেজাউল করিম এসে তার ছাগলের চিকিৎসা শুরু করে। ব্রঙ্কোভেট নামের একটি সিরাপ এনে খাওয়াতে বলেন। ওই সিরাপ খাওয়ানোর ২০ মিনিটের মধ্যেই মারা যায় একটি ছাগল। ছাগলটির পেটে ৫ মাসের বাচ্ছা ছিলো। নিজের কষ্টে পালিত ছাগলটির এমন মৃত্যুতে চোখে জল চলে আসে লিটনের। সেই সাথে ক্ষোভ ঝারতে থাকেন প্রাণী সম্পদ অফিসের চিকিৎসকদের প্রতি। পরে মৃত ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরেন তিনি।
তিনি বলেন, এই অফিসে দুই দিনেও আমি কোন ডাক্তার পাইনি। ডাক্তারের সহকারীরা এসে চিকিৎসা দেয়। তাদের ভুল চিকিৎসা আর অবহেলায় আমার ছাগলটি মারা গেলো। গরু ছাগল আমাদের গরিবের সম্পদ। ছাগলটি বাজারে নিলে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা দাম হতো। এতো কষ্ট করে পালন করা পর চিকিৎসার অভাবে পশু মারা গেলে কি কষ্ট, যার যায় সেই জানে। আমি এর বিচার চাই।
শুধু লিটনই না প্রাণী সম্পদ হাসপাতালের কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলা আর অনিয়মে ক্ষুব্ধ জেলার খামারিরাও। খামারিদের অভিযোগ, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শহিদুল ইসলাম ঠিক মতো অফিস করেন না। ভেটেনারি সার্জন ডা. মরিয়ম রহমান আছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। তাই হাসপাতালে অসুস্থ পশু নিয়ে আসলে চিকিৎসা দেন কমাউন্ডার বা ভেটেনারি ফিল্ড এসিসটেন্টরা। এভাবেই চলছে হাসপাতালটির কার্যক্রম। অন্যদিকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শহিদুল ইসলামকে খামারিরা চিকিৎসার জন্য ডাকলে মোটা অঙ্কের ভিজিট দিতে হয় বলে অভিযোগ করেন খামারিরা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বড় খামারিদের বিশেষ সুবিধা দেয়া, ব্যক্তিগত কাজে মোবাইল ভেটেনারি ক্লিনিকের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে সম্প্রতি জেলা প্রশাসক বরাবরে গণ অভিযোগ করেন খামারিরা।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার জালাসী এলাকার খামারি মো. সোহেল বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামকে ডাকলে ১০০০ টাকা ভিজিট দিতে হয়। ভিজিট না দিলে তারা আসে না। মডেলহাট এলাকার এক গরিব খামারি তাকে ভিজিটের টাকা দিতে না পারলে গাড়ি চালক দিয়ে তার খাসি তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। পরে স্থানীয়দের তোপের মুখে রেখে যেতে বাধ্য হন।
ভেটেনারি ফিল্ড এসিসটেন্ট রেজাউল করিম বলেন, আমি ইউএলও স্যারের কম্পাউন্ডার হিসেবে কাজ করি। স্যারের নির্দেশনায় চিকিৎসা দেই। শাসকষ্টের কারণে ছাগলটি মারা গেছে। আমি স্যারের কম্পাউন্ডার হিসেবে আছি। চিকিৎসা দেয় স্যার আমি জাস্ট স্যারের এডভাইস ফলো করি।
এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শহিদুল ইসলামের অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায় নি। এমনকি তার মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST