মোঃ রিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মঙ্গলের গাঁও এলাকায় অবস্থিত বটতলা বাজারে অভিযান চালিয়ে ৩০/৩৫টি দোকান ভেঙে ফেলা হলেও বিএনপি নেতার মালিকানাধীন একটি দোকান অক্ষত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,প্রায় দুই মাস পূর্বে বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়।এসময় বাজারের অন্তত ৩৩টি দোকান গুড়িয়ে দেওয়া হলেও বিএনপি নেতা মোশাররফ এর দোকান অক্ষত রাখা হয়।এতে সাধারণ ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।এলাকাবাসীর অভিযোগ,উচ্ছেদ অভিযানে রাজনৈতিক পরিচয় ও প্রভাব খাটিয়ে ওই নেতার দোকান রক্ষা করা হয়েছে।অথচ দীর্ঘদিন ধরে অন্যান্য দোকানদাররা নিয়মিত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন,“আমাদের দোকানগুলো ভেঙে দেওয়া হলো, অথচ কান্দাপাড়ার বিএনপির মোশাররফ এর দোকান অক্ষত রইল।এটা কি ন্যায়বিচার?এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করেন- কান্দাপাড়ার মোশাররফ ও বটতলা বাজার এলাকার তার বোনজামাই জলিলের ছেলে কাশেম বিএনপি দলের প্রভাব খাটিয়ে সহজ সরল মানুষের জায়গা কেড়ে নেয়।তাদের অত্যাচারে মানুষ দিন দিন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।বটতলা বাজারটাকে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে।সোনারগাঁয়ের বিএনপি দলের কিছু নেতার সাথে মোশারফ ও কাসেমের ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে,বিএনপি নেতারা জানান-শুনেছি মোশারফ পূর্বে অধ্যাপক রেজাউল করিমের রাজনীতি করতো।বর্তমানে তার আচার-আচরণ খারাপ হওয়ার কারনে কোন নেতারা তাকে পাত্তা দেয় না।এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।এ ঘটনার পর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েেন।এলাকাবাসীর এখন একটাই দাবি মোশাররফের দোকনটি সরকারি জায়গা থেকে দ্রুত ভেঙে ফেলা হোক।