ভালুকা উপজেলা প্রতিনিধি
ভালুকার মল্লিকবাড়ি ভয়াবহ গ্রামে একটি প্রজেক্টের জমি নিয়ে সম্প্রতি পক্ষে-বিপক্ষে নানা অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি মহল সচেতনভাবে মল্লিকবাড়ি বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি আতাহার মন্ডলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আতাহার মন্ডল দীর্ঘদিন ধরে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে মল্লিকবাড়ি বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এলাকার ধর্মীয়, সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তাঁর অবদান প্রশংসিত হলেও, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিগত সরকারের আমলে আতাহার মন্ডলের পরিবার রাজনৈতিক নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছিল—যা এলাকাবাসীর কাছে সুপরিচিত। সেই আঘাত সইতে না পেরে সম্প্রতি তাঁর চাচা রহিম মন্ডল অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আতাহার নিজেও মিথ্যা মামলায় জেল খেটেছেন এবং একসময় পলাতক জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
প্রজেক্টটি শুরু হওয়ার সময় আতাহারসহ স্থানীয় আরও কয়েকজন নানাভাবে হয়রানির শিকার হন। অথচ আতাহার মন্ডল সবসময় এলাকার উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও সামাজিক শান্তি বজায় রাখতে কাজ করে গেছেন—যা ভালুকাবাসী স্বীকার করে।
অভিযোগ রয়েছে, কোম্পানির বৈধভাবে ক্রয়কৃত জমিকে কিছু ব্যক্তি এখন নিজেদের দাবি করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। অথচ কোনো ব্যক্তির জমি জোরপূর্বক দখল করা হয়নি। বরং এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। উন্নয়নমূলক কাজে কিছু মতবিরোধ থাকতেই পারে, তবে আতাহার মন্ডলের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই বলে সচেতন মহল মনে করছে।
দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, জমির কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আইনি প্রক্রিয়ায় সঠিক ফয়সালা হবে ইনশাআল্লাহ। তবে কিছু ব্যক্তি ‘তালগাছ আমার’ মনোভাব নিয়ে অহেতুক জেদ ধরে পরিস্থিতি জটিল করার চেষ্টা করছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে আতাহার মন্ডল বলেন, “আমি কাগজপত্র দেখে কোম্পানিকে জমি কিনে দিয়েছি মাত্র। বাউন্ডারি করার সময় কী হয়েছে, সে বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।”
এলাকাবাসীর অভিমত, এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রশাসনের পক্ষ থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন—না হলে এলাকায় অস্থিরতা ও বিভ্রান্তি আরও বাড়তে পারে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, সত্য ও ন্যায়বিচারই শেষ পর্যন্ত জয়ী হবে।