মাংসের বাকী টাকা চাওয়ায় মাংস বিক্রেতার নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ

Spread the love

সরদার রইচ উদ্দিন টিপু জেলা প্রতিনিধি (নড়াইল)

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের ইতনা চৌরাস্তা বাজারের মাংস বিক্রেতা ওমর,ওই গ্রামের মনিরুজ্জামান মনিরের নিকট মাংসের বাকী টাকা চাওয়ায় তার নামে থানায় অভিযোগ।

৪ আগষ্ট শুক্রবার সরজমিন ঘুরে স্থানীয় সুত্রে জানাযায় গত ৩/৪ মাস আগে মনিরুজ্জামান মনির মাংস বিক্রেতা ওমর নিকট থেকে ২ কেজি মাংস বাকিতে কিনে ছিলো। বিভিন্ন সময় মনিরের নিকট মাংসের বাকী টাকা চাইলে মনির নয়/ ছয় করে ঘুরাতে থাকে। গত বুধবার সকালে মনিররে নিকট মাংস বিক্রেতা ওমর কাজির ভাই টাকা চাইলে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি ও একে অপরকে হুমকি ধামকি দেয়।
এই ঘটনায় মনির লোহাগড়া থানায়
একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে ওমর কাজি ও মনিরের নামে ৩ আগষ্ট লোহাগড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

এদিকে ইতনা গ্রামের মাংস বিক্রেতা ওমর কাজি বলেন মনিরকে মারপিটের কোন ঘটনা ঘটে নাই তবে আমার ভাইয়ের সাথে কথা কাটাকাটি হয়ে ছিলো। মনিরের কাছে পাওনা টাকা চাইলে সে টাকা না দিয়ে আমাকে বলে আমি সাংবাদিক তোকে দেখায় দিবো। তোর মাংস বিক্রি করা বন্ধ করে দিবো এবং আমার পরিবার সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। আমি গরীব মানুষ আমি কসাইয়ের কাজ করে সংসার চালায়। এহেন কর্মকান্ডে আমি মনিরের বিচারের দাবী করছি।
এই ঘটনায় ইতনা গ্রামের অপু সিকদার, কাজী আব্দুল মান্নান, মুকুল সিকদার, ভ্যান চালক সানেয়ার মোল্যা, ও ইতনা চৌরাস্তা বনিক সমিতির সভাপতি আলমগীর হোসেন,বনিক সমিতির উপদেষ্টা সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন সহ ওই গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ বলেন মাংস বিক্রেতা ওমর কাজি দীর্ঘ ধরে এই চৌরাস্তায় মাংস বিক্রি করছে তার নামে কোন অভিযোগ পাই নাই। সে সৎ ভাবে ব্যাবসা করে। অপরদিকে কথিত সাংবাদিক মনিরুজ্জামান মনির আমাদের গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা না। সে এখানে ঘরজামায় থাকে। সে বিভিন্ন সময় সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মুলক কর্ম করে থাকে। মাংস বিক্রেতা ওমর গতকাল ৩ আগস্ট লোহাগড়া থানায় অভিযোগ দিয়েছে তাছাড়া আমরা ইতনা চৌরাস্তা বনিক সমিতি নড়াইল জেলা প্রশাসকের নিকট কথিত হলুদ সাংবাদিক মনিরের কৃতকর্ম থেকে পরিত্রান চাই এবং আমারা জেলা প্রশাসক নড়াইল বরাবর মনিরের নামে অভিযোগ দিবো।

মোঃ মনিরুজ্জামান মনির এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন গত বুধবার আমাকে ওমর সহ ৬/৭ পিটিয়ে গুরুতর যখম করেছে।আমি তার নিকট থেকে মাংশ বাকী আনি নাই। কসাই ওমর আমার কাছে কোন টাকা পাবে না। নিউজ ফেজবুকে শেয়ার করায় আমাকে মারপিট করেছে।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন মনির ও মাংস বিক্রেতা ওমর কাজি একে অপরের নামে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে তদন্ত করে সত্যতা উদঘাটন করে আইন গত ব্যাবস্থা নিবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *