মোঃ কামাল উদ্দিন মাদারগঞ্জ প্রতিনিধি
জামালপুরের মাদারগঞ্জে স্ত্রী’র মামলায় জেল খাটার পর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি শিকার স্বামী।
এমন ঘটনা ঘটেছে মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের গোপালপুর এলাকার আহাদ আলী’র সাথে।
জানা গেছে গত ১২ অক্টোবর/১৯৯৩ ইং তারিখে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক উভয় পক্ষের সম্মতিতে অত্র উপজেলার ৩ নং গুনারীতলা ইউনিয়নের চর গোপালপুর এলাকার আফাজ্জল মন্ডলের ছেলে আহাদ আলী মন্ডল(২৫) এবং একই এলাকার আনছার আলী আকন্দের মেয়ে রোকসানা বেগম (১৮) এর সাথে বিবাহ সম্পন্ন ।
সংসার ভালোই চলছিল তাদের। দীর্ঘ ৩২ বছরের সংসার জীবনে এ সময়ের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ৪ সন্তানের মধ্যে ২য় ছেলে এবং ৩ জন কন্যা সন্তান আসে পরবর্তীতে বিয়ের উপযুক্ত হওয়ায় দুইজন কে বিবাহ দেওয়া হয় এবং ছোট মেয়েটি দাওরায়ে অধ্যায়নরত আছে। প্রায় বছর খানেক হলো আহাদ আলীর স্ত্রী বাড়ী থেকে চলে যায় এবং মেলান্দহ উপজেলার নলছিয়া-খাশিমারা এলাকার জাকিরুল ইসলাম নাসিম (উকিল) নামে এক ব্যক্তির মৎস্য খামারে কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত আছে। স্ত্রী রোকসানা বেগম স্বামী কে তালাক ছাড়াই অন্য এলাকায় গিয়ে বসবাস করছেন বিষয়টি সচেতন মহলে আলোচনার ঝড় বইছে। স্ত্রী কে নিয়ে সংসার করতে চাইলেও অন্যের প্ররোচনায় মিথ্যা মামলা করিয়ে একের পর এক হয়রানি করছে বলে জানান ভুক্তভোগী আহাদ আলী।
তিনি জানান আমার স্ত্রী রোকসানা বেগম মিথ্যা সন্দেহ করে বাড়ী থেকে চলে গেছে প্রায় ৯ মাস হলো এবং ৭/৮ মাস যাবৎ নাসিম উকিল এর মাছ ও গরুর খামারে কাজ করে’ আমার সাথে কোন যোগাযোগ করে না। আমার স্ত্রী থাকা অবস্থায় সে কি ভাবে নাসিম উকিলের খামারে থাকে। একে অপরকে তালাক ও দেওয়া হয়নি তাহলে কোন মূলে সে ঐ উকিলের খামারে থাকে। আমি তারে আনতে গেলেও আসে না উল্টো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয় ও মারার হুমকি দেয় এবং জমি লিখে নেওয়ার পায়তারা করতেছে। আমার ৪ সন্তান’ ২য় ছেলে এবং বড়সহ ৩ টা মেয়ে। ছেলেটাকে বিদেশ পাঠিয়ে ছিলাম ওর মা জন্ডিসের ঔষধের কথা বলে ছেলের কাছে ঔষধ গুলো পাঠায় এবং খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে । অসুস্থ অবস্থায় দেশে এসে চিকিৎসা করিয়ে ও বাঁচাতে পারিনি। অর্থের লোভে আমার ছেলেটাকে ক্ষতিকর ঔষধ খাইয়ে অসুস্থ অবস্থায় মারা যায়।
ভুক্তভোগীর কন্যা ফাতেমা বলেন – আমার মা রোকসানা বেগম বাবাকে সন্দেহ করে অভিমান করে বাড়ী থেকে প্রায় ৯ মাস আগে চলে যায়। এরপর আমরা নানির বাড়ী খোঁজ খবর নিলেও পায়নি, পরে জানতে পারি নলছিয়া বাজারের দক্ষিণ পাশে আশ্রয়ন প্রকল্পের সাথেই জাকিউল ইসলাম নাসিম (উকিল) এর গুরুর খামারে কাজ করে মা। আমার বাবা সহ কয়েকজন তারে আনতে গেলেও আসেনি উল্টো নাসিম উকিলের সহযোগিতা নিয়ে আমার বাবাকে মারধরের হুমকি এবং মামলা দিয়ে হয়রানি করাচ্ছে।
ভুক্তভোগীর মেঝো কন্যা আকলিমা বলেন- আমার বাবার সাথে মনোমালিন্য করে চলে গেছে মা। বাবার উপর যে সন্দেহ করে ঐরকম কোন কিছু আমরা দেখিনি কিংবা পায়নি অযাথা হয়রানি করাচ্ছে। মামাদের ও নাসিম উকিলের কথা মতো মা কে বাদী বানিয়ে বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে জমি লিখে নেওয়ার জন্য এবং ঐ মামলায় বাবা জেল খাটে ৭ দিন জামিনে বের হয়ে আসলেও শান্তিতে নেই আমরা’ আবারো মামলা হামলার হুমকি দিচ্ছে উকিল, আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রোকসানা বেগম কোন কথা বলেনি ও জাকিউল ইসলাম নাসিম উকিল এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কল রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য যে, ১২ জুলাই/২০২৫ ইং তারিখে জামালপুর বিজ্ঞ আদালতে নারী নির্যাতন মামলায় ৭ দিন জেল খাটেন আহাদ আলী।

