নজরুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ শহীদ এম.মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগে ভর্তি রোগীর ছেলের বউকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে আউটসোর্সিং এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ওই কর্মচারীর নাম ইসমাইল। এর আগে অভিযুক্ত ওই কর্মচারীর কর্মকান্ডে নিরুপায় হয়ে ঠিকাদারের প্রতিনিধি চাকুরিচ্যুত করে। পরে নানা তদবির করে চাকুরি ফিরে পায়। আরো জানা যায়, হাসপাতালের নারী ডাক্তার ও নার্সদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করে। এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া ও হেভিয়েট নেতাদের নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এ অপকর্ম চালিয়ে আসছে। হাসপাতালে দায়িত্বরত এক কর্মচারী বলেন, আগত সেবা নিতে আসা সুন্দর নারীদের সাথে শ্লীলতানির অভিযোগে এর আগে দু দু’বার ওই ইসমাইলকে নিয়ে বিচার করা হয়েছে।
সম্প্রতি যৌন হয়রানির শিকার হয়ে এক ভুক্তভোগী নারী লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কৃষ্ণ কুমার পাল বলেন, আমি ভুক্তভোগীর কাছ থেকে শুনেছি দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভুক্তভোগী অভিযোগকারী বলেন, ‘রাতে অন্ধকার ওয়ার্ডে রোগীর বিছানার পাশে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত ৪টার দিকে আমার শরীর স্পর্শ করায় আমি চিৎকার করতে থাকি। আমার আত্মচিৎকারে কর্তব্যরত নার্স ও রোগী ও রোগীর আত্মীয় স্বজন এসে ওই ইসমাইল নামের ওয়ার্ড বয়কে নানা প্রশ্ন করতে থাকে। এ সময় জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের আপন ভাই পরিচয় দিয়ে আমাকে ও আশেপাশের সবাইকে ভয় দেখায়। নেতার ভাই দেখে এমন কাজ করতে হবে এমন প্রশ্ন করা হলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই ইসমাইল আমাদের কাছে মাফ চেয়ে দ্রুত চলে যায়। পরে আশেপাশের রোগী ও রোগীর আত্মীয় স্বজন এমনকি নার্সদের সাথে ইতিপূর্বে খারাপ আচারনের বিষয় সবাই আস্তে আস্তে প্রকাশ করতে থাকে। সামাজিকতার ভয়ে মুখ বুজে এই কর্মচারীর নির্যাতন সহ্য করে আসছেন অনেক ভুক্তভোগী নারী নির্যাতিতরা।
এ বিষয়ে ওয়ার্ড বয় ইসমাইল বলেন, আমি এই ঘটনার সাথে কোনভাবেই জড়িত নই। আমার কাছে থেকে কৌশলে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়ার জন্য এই মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর আগে চাকরি চলে যাওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, রোগীর কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগে চাকুরিচ্যুত হই। পরে তদন্তে প্রমান না মেলায় পুনরায় চাকরি ফেরত পাই।
সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন এ বিষয়ে বলেন, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্রুত এর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কিছু অসাধু কর্মচারীর কারনে প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট হবে এমনটা কখনোই চাইবো না।
এদিকে স্বাধীনতা আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সভাপতি রফিক বলেন, অভিযোগের সত্যতা মিললে প্রথমে আমরা সদস্যদ পদ বাতিল করে পরবর্তীতে অফিসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।