বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো:
মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ফের দ্বিতীয় ধাপে ভোজ্য তেলের উপর সর্বোচ্চ ১৩ টাকা লিটার প্রতি বাড়ানোতে দেশের সকল শ্রেণীর জনগণই সরকারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কথা দেশের প্রত্যেকটা দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে নাভিশ্বাস উঠছে নুন আনতে পান্তা ফোড়াচ্ছে আয় উপার্জনের সাথে খরচের সামঞ্জস্য না থাকায় নাকে কানে চুবানি খেতে হচ্ছে, তারপর আবার ভোজ্য তেলের লিটার প্রতি সর্বোচ্চ ১৩ টাকা বাড়িয়েছে যা সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য ।
আবার অনেকে বলছে সামনে নির্বাচনের কারণে দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল গুলোর এসব ব্যাপার নিয়ে মাথা ঘামাবার সময় নাই। নির্বাচনের আখের গোছানোর জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে তারা। অপরদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান সাপ ছেড়ে খেলা দেখছে প্রতিমাসেই প্রায় বিদেশে সফর নিয়ে তিনিও ব্যস্ততার মধ্যে আছেন।
তাছাড়া ইতিমধ্য উপদেষ্টা পরিষদের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা তাদের নৈতিকতার কারণে রাজনৈতিক অঙ্গন সহ দেশের সর্ব মহলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। আর তারই ফাকে অসাধু ব্যবসায়ীরা নতুন সিন্ডিকেট করে ইচ্ছামত নিত্য পণ্যের বাজারদর আকাশ ঠেকিয়ে কালোবাজারি শুরু করেছে।
একই সাথে সরকার প্রধান ইতালির রোমে ক্ষুধা মুক্ত বিশ্ব গঠনের ছয় দফা প্রস্তাব রেখে বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেও তারই দেশের সাধারণ জনগণ দ্রব্যমূল্য রোশনালে ভুগছে , প্রতিনিয়ত পাগলা ঘোড়া হয়ে ছুটছে নিত্য পণ্যের দাম।
দ্বিতীয় ধাপে ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চিত করেছে। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল এক ধাপ মূল্য বৃদ্ধির বেশ কয়েকদিন আগের থেকে তেলের দাম সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমানোর আভাস পেয়ে সাধারণ মানুষদের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি এসেছিল, কিন্তু হঠাৎ করে ঘটনা হিতে বিপরীত দাম কমানোর পরিবর্তে সেই ধাপে লিটার প্রতি বাড়ালো ৮ টাকা যার দরুন সাধারণ জনগণের কাতার থেকে কিছুটা হলেও ছিটকে পড়ে সরকার।
ফের আবার একই কায়দায় লিটার প্রতি সর্বোচ্চ ১৩ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে ভোজ্য তেলের যার প্রভাব মিষ্টির দোকান থেকে শুরু করে ছোট বড় হোটেল রেস্তোরাঁ ফাস্টফুড এমনকি বেকারী সামগ্রীতেও পড়েছে। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা সরকারের অজুহাত দিয়ে বলছে দেশে অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ দেশের রিজার্ভ নাই যার কারণে এলসি প্রক্রিয়ার খাতে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে বিদেশ থেকে মাল আমদানি করতে গেলে সরকারকে দ্বিগুণ ট্যাক্স দিতে হচ্ছে তাছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণভাবে ট্রান্সপোর্ট খরচ ও দ্বিগুণ হয়েছে সবকিছু মিলে এই মুহূর্তে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি না করলে আমাদের আসল চালান বাঁচানোই দুষ্কর হয়ে পড়বে। ব্যবসায়ীরা আরো বলেন বিশ্ববাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে তবে ব্যবসায়ীদের এ ধরনের কথায় সাধারন মানুষের পেট ভরছে না কারণ মানুষের পকেটে পয়সা নাই আয় উপার্জন নাই দরিদ্র সীমার নিচে নেমে এসেছে অর্থনৈতিক খাত, দিনরাত ২৪ ঘন্টা পরিশ্রম করেও জীবন জীবিকা বাঁচানোই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
ফলে ভোক্তাদের অভিযোগের কণ্ঠে উঠে এসেছে সরকারের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া, আমজনতা বলছে সরকার দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়ে পড়েছে দেশের প্রতি তার কোন নজর নাই, সাধারণ মানুষের প্রতি তার কোন আক্ষেপ নাই।
বিদেশ সফর ক্ষমতার মসনদ গুটিকয়েক উপদেষ্টাদের নিয়ে খামখেয়ালীভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে যা সাধারণ জনগণের জন্য আদও সুফল আসছে না, তাছাড়া রাজনৈতিক নেতাদের কথাও বলছে সাধারণ জনগণ তারা তো রয়েছে তাদের নির্বাচন নিয়ে দাবি আদায়ের মিছিল মিটিং তারা ক্ষমতায় আসবে কখন আর ক্ষমতার মসনদে বসবেইবা কখন।
কে কয়টা আসন পাবে এবং বড় বড় বুলি আওরাতে ব্যস্ত থাকলেও দেশে না হচ্ছে সংস্কার, না হচ্ছে কোন উন্নয়ন।
থমকে আছে অর্থনৈতিক অবস্থা না খেয়ে মরছে সাধারণ জনগণ সবকিছু মিলে লেজে গোবরে দেশ।