আয়নাল হক রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
২৮,কুড়িগ্রাম-৪ আসনের কান্ডারী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এমপি
এ্যাড. বিপ্লব হাসান পলাশ। শপথ গ্রহণের পর থেকে তিনি তার নির্বাচনী এলাকায়
বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে কুড়িয়েছেন সাধারণ মানুষের প্রশংসা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যাশিত ভোট পেয়ে এ আসনে বিজয়ী হয়েছেন। দ্বাদশ নির্বাচনে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করেছে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণের পর থেকেই নিজেদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিজ নিজ এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ড শুরু করে দিয়েছেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য।
এরই মধ্যে নিজ এলাকায় উন্নয়নের ঝলক দেখিয়ে এলাকাবাসির কাছে বেশ প্রসংসার সাড়া ফেলেছেন ২৮ কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এমপি এ্যাড. বিপ্লব হাসান পলাশ।
তিনি প্রথম সংসদ সদস্য হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশের তরুন এমপিরা তাদের
কার্যক্রমের মাধ্যমে এলাকা জুরে সারা ফেলেছেন। সেই সাথে তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমে,
প্রশংসা কুড়িয়েছেন। দেশের সবচেয়ে দরিদ্রতম জেলা কুড়িগ্রাম। ২৮ কুড়িগ্রাম-৪ আসন এ বেকার, যুবক, যুবতী, অঞ্চলগুলো এর মধ্যে অন্যতম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার আস্থা রেখেছেন
তরুণ রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী বিপ্লব হাসান পলাশের ওপর। শপথ গ্রহণের এক মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আস্থার প্রতিদান দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এ আসনে রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন করা শুরু করেছেন। দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা সিএনজি অটো-রিক্সার
চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এই অঞ্চলের সিএনজি ও অটো রিকশা চালকরা।
তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর সিএনজি অটো রিকশা চাঁদাবাজি বন্ধে গুরত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করেন। গত বছর রাজিবপুরে চাঁদা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করে ইজিবাইক
শ্রমিকরা। তিনি জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর নিকট কুড়িগ্রামের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনার অনুরোধ জ্ঞাপন করেন। এলাকার প্রতি এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাহবা দিচ্ছেন। গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারী) নদী ভাঙ্গনরোধ ও স্থায়ীভাবে সমাধানের লক্ষ্যে রাজিবপুর, রৌমারী ও চিলমারীর বিভিন্ন স্থানে নদী পরিদর্শন করেন এমপি বিপ্লব হাসান পলাশ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর
বিভাগের চেয়ারম্যান সহ আরো অনেকেই। তার নির্বাচনে ইশতেহারের অন্যতম একটি
নদী ভাঙ্গনরোধ ও স্থায়ীভাবে সমাধানের ব্যবস্থা করা। যেটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি শুরু
থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন। উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে টোল নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
যা গত ১৫ বছরের মধ্যেও ব্যতিক্রমী একটি উদ্যোগ। ইতিমধ্যে কুড়িগ্রাম জেলা
আওতাধীন হাট-বাজারের টোল আদায়ের চার্ট দেখা যায় বিভিন্ন হাট-বাজারে।এছাড়াও
তিনি নিজস্ব অর্থায়নে কুটিরচর, মহিলা কলেজপাড়া, চরশৌমারী বাজারে পাশে ব্রিজ সংস্কার, মিয়ারচর, চরশৌলমারী খালের উপর কাঠের ব্রিজ ও সংস্কারে নজির গড়েছেন। যা কয়েকটি গ্রামের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করেছে। এতে প্রশংসাও পেয়েছেন সাধারণ মানুষের কাছে। উপজেলা
পরিষদ থেকে শুরু করে সব ধরনের মাসিক সভায় তার উপস্থিতি লক্ষণীয়। এতে করে তিনি সহজেই সমাধান করতে পারছেন এ অঞ্চলের সমস্যাগুলো। সেই সাথে প্রতিটি সমস্যার বিষয়ে সরাসরি অবগত হচ্ছেন। এমপি বিপ্লব হাসান পলাশ হঠাৎ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে যান। সকালের দিকে তিনি পুরো উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্স সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা
বলেন। ভর্তিকৃত রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতাও গরীব মেহনতি মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।