মনিরুল ইসলাম মাহিম, খাগড়াছড়ি:
মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে বিদায় নিলেন জিয়ানগর বাইতুল আমান জামে মসজিদের প্রিয় ইমাম হাফেজ মাওলানা জামিল আহমদ। দীর্ঘ ছয় বছর অত্যন্ত নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও ধর্মীয় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে জিয়ানগর বাইতুল আমান জামে মসজিদের ইমামতি করে, এলাকাবাসীর অন্তরে স্থান করে নেওয়া ইমাম হাফেজ মাওলানা জামিল আহমদ বিদায় নিলেন। ৬ জুলাই রোববার বাদ আছর তাঁর বিদায় উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক আবেগঘন সম্মাননা অনুষ্ঠান, যেখানে কান্নাভেজা চোখে তাঁকে বিদায় জানান এলাকার নারী-পুরুষ, যুবক-বৃদ্ধ সবাই।
ছয় বছর ধরে তিনি শুধুমাত্র ইমামতি নয়, বরং এলাকার ধর্মীয়, সামাজিক এবং নৈতিক উন্নয়নে রেখেছেন অনন্য ভূমিকা। ছোট-বড় সবার মাঝে ইসলামি শিক্ষার বীজ বপন করে তিনি হয়ে উঠেছিলেন এলাকার এক আশার আলো। বিশেষ করে তরুণদের ধর্মীয় পথে উদ্বুদ্ধ করার কাজে তাঁর অবদান ছিল প্রশংসনীয়। তাঁর সুমধুর ক্বেরাত, হৃদয়ছোঁয়া খুতবা এবং বিনয়ী আচরণ মসজিদপাড়া ছাড়িয়ে গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। ফুল দিয়ে সাজানো গাড়িতে তাকে বিদায় জানান এলাকাবাসী।
বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মধ্যনগর জামে মসজিদের ইমাম এবং উল্টাছড়ি ইউনিয়ন আলেম ওলামা কমিটির সভাপতি মুফতি মাওলানা মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, “হাফেজ জামিল আহমদের মতো আলেম সমাজে বিরল। তিনি আমাদের হৃদয়ে অম্লান হয়ে থাকবেন। তাঁর খেদমত, ইলম ও আখলাক সত্যিই অনুকরণীয়।”
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন পানছড়ি উপজেলা জামাত নেতা মোঃ আব্দুল খালেক, পানছড়ি উপজেলার শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ শাহজাহান, ৫নং উল্টাছড়ি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম। বক্তব্যে তারা বলেন, হুজুর শুধু একজন ইমাম ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন নৈতিক অভিভাবক, একজন আলোকবর্তিকা, যিনি এলাকার মানুষকে আলোর পথ দেখিয়েছেন।
বিদায়ের মুহূর্তে বহু মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন। ছোট শিশুরাও চোখের পানি সংবরণ করতে পারেনি। এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয় পুরো মসজিদ প্রাঙ্গণে।