মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ মাদারীপুর প্রতিনিধি
বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্যে দিয়ে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন করা হয়েছে। আজ(০৮ ডিসেম্বর) রোববার সকালে এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে উপজেলা চত্বর থেকে একটি আনন্দ র্যালী বেড় করে উপজেলার প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক বেপারী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া আব্দুর রহিম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী আকন প্রমুখ। উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর উপর। এতে করে পাকহানাদারবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পরাজয় বরন করে। সেদিন তারা মুক্তিযোদ্ধাদের তোপের মুখে পরে কালকিনি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তাই ৮ই ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত ঘোষনা করা হয়। উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক বেপারী দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পুরো সময়জুরে এ উপজেলা ছিল পাকহানাদার বাহিন ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদরদের হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষত-বিক্ষত। উপজেলা হানাদার মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘ ৯মাস উপজেলার বিভিন্নস্থানে হানাদার বাহিনীর সাথে কয়েকটি মুখোমুখি যুদ্ধসহ ১৫টি দুঃসাহসীক অভিযান চালায়। যেমন উপজেলার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু ভূরঘাটা লালপোল পাকহানাদার বাহিনীর শক্তঘাটিতে মুক্তিযোদ্ধারা হামলা চালায়। পরে পাকহানাদাররা দিশেহারা হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এবং পাকহানাদারবাহিনীর দখলে থাকা উপজেলার করিমগঞ্জবাজার ঘাটি গুড়িয়ে দেয় মুক্তিযোদ্ধারা। সেদিনই কালকিনিকে হানাদার মুক্ত ঘোষনা করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ বলেন, এ দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের উদ্যোগে আনন্দর্যালী ও আলোচনাসভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।