মনিরুল ইসলাম মাহিম, খাগড়াছড়ি:
রাতের ভারি বর্ষন এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি পৌরসভার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত থেকে পানছড়ি ও পার্শ্ববর্তী উজানে টানা ভারী বর্ষণের পর চেঙ্গি নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে গিয়ে শহরের নিচের বাজার, মেহেদীবাগ, গঞ্জপাড়াসহ আশপাশের শতাধিক ঘরবাড়িতে পানি উঠে কয়েকশ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে এবং আসবাবপত্রসহ গৃহস্থালির জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এদিকে আকস্মিক বর্ষণে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছেন পানছড়ির কালানাল এলাকার মৎস্যচাষি আনোয়ার হোসেন। তিনি প্রায় ৮ একর জমির ওপর ১১টি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছিলেন। এর মধ্যে ৬টি পুকুরে প্রায় ১০ টন বিভিন্ন প্রজাতির কার্পজাতীয় মাছ এবং ৪টি পুকুরে ৩৫ হাজার পাঙ্গাস ও ১ লাখ মনোসেক্স তেলাপিয়া মজুদ ছিল, যেগুলো এ মাসের শেষের দিকে বাজারজাত করার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার রাতের ভারী বর্ষণে তার ১১টি পুকুরের মধ্যে ১০টির বাঁধ ভেঙে সব মাছ ভেসে যায়। এতে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। এক কথায় তিনি নিঃস্ব হয়ে দিশেহারা অবস্থায় পড়েছেন। শুধু আনোয়ার হোসেন নন, এ বন্যায় আরও অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, মৎস্যচাষি ও কৃষক ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন, যার সঠিক হিসাব এখনো নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা জানান, দুর্গতদের সহায়তা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
পানছড়ি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রিয় কান্তি চাকমা বলেন, মোঃ আনোয়ার হোসেনের ১১টি জলাশয়ের বাঁধ ভেঙে ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও পানছড়ি উপজেলায় আরো ১৯ টি জলাশয়ের বাঁধ ভেঙে গেছে, তার মধ্যে ১৫টি জলাশয় এর সকল মাছ চলে গেছে, অনুমান করা হচ্ছে এতে ৭০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।